

আলী মিলানি ইরানি বংশদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নবীন রাজনীতিবিদ। ১৯৯৩ কিংবা ৯৪ সালে জন্ম। পাঁচ বছর বয়সে ইরান থেকে ব্রিটেনে পাড়ি জমান। ঠিক ২০ বছর পরে ২৫ বছরের এই ইরানি যুবক যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি। আসছে জাতীয় নির্বাচনে তিনিই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে মাঠে নামছেন।
পশ্চিম লন্ডনে উক্সব্রিজ ও সাউথ রুইস্লিপ আসনে বরিসকে হারাতে বিরোধী দল লেবার পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন এই ইরানি যুবক আলী মিলানি।
ইরানে জন্ম নেয়া মিলানি উত্তরপশ্চিম লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের ছায়ায় সামাজিক আবাসিক এস্টেটে বেড়ে উঠেছেন। উক্সব্রিজের মডার্ন ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন আলী মিলানি। ধর্ম-কর্মে একনিষ্ঠ আলী। ছিলেন জাতীয় ছাত্র ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠ নেতা।
অন্যদিকে লন্ডনের সাবেক মেয়র ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার চেয়ে ৩০ বছরের বড়। বিখ্যাত ইটন কলেজের ছাত্র ছিলেন বরিস। ডিগ্রি নিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর লন্ডনে জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনে ব্রেক্সিট ইস্যু বেশি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা। কিন্তু স্থানীয় বিভিন্ন ইস্যু সামনে চলে আসবে খুব স্বাভাবিকভাবেই। ফলে দলীয় প্রয়োজনে নিজ আসনে বরিসের কম উপস্থিতি বড় ধাক্কা হতে পারে। এএফপির এক প্রতিবেদনে বিষয়টা উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আইটি নিয়ে কাজ করা ৪২ বছর বয়সী মাইকেল ফ্রিইটাস বলেছেন, এটা সবসময় কনজারভেটিভদের আসন ছিলো। কিন্তু স্থানীয় হাসপাতালের সেবায় লোকজন অসন্তুষ্ট।
আলী মিলানি নাকি লিবারেল ডেমোক্র্যাটসদের ভোট দেবেন, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকা এই যুবক বলেন, তরুণদের অবস্থা খুব একটা ভালো না। উক্সব্রিজে জনসনের উপস্থিত হওয়ার অপারগতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
মাইকেল ফ্রিইটাস বলেন, স্পষ্টত তিনি (বরিস) স্থানীয় লোকজনের প্রতি অবহেলা করেছেন।
ক্যাথরিনা নক্স নামের এক অভিনেতা ও লেখক বলেন, স্থানীয় বিষয়গুলোকে বেশি স্পর্শ করতে পেরেছেন মিলানি। তরুণ ভোটারদের চিন্তায় তিনি জায়গা করে নিয়েছেন।
/এসএস