

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে ৩৩৯ কর্মকর্তা নিয়োগের ব্যপারে তিনি বলেছেন, এই নিয়োগ সম্পর্কে কমিশনাদের কিছু না জানিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং এ এই অভিযোগ তোলেন নানান সময়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও ইসির কার্যকালাপের সমালোচনা করে আলোচনায় থাকা নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনারদের কিছু না জানানোকে সংবিধানের লঙ্ঘন বলে মনে করছেন এই কমিশনার। তার অভিযোগ, সম্প্রতি ১২ এবং ২০ গ্রেডে শূন্য পদে ৩৩৯ জনকে নিয়োগ এবং সেই পরীক্ষা থেকে বহিষ্কৃত ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি সে বিষয়ে জানতে চেয়ে কোন তথ্য পাননি তিনি।
এছাড়া নিয়োগের পেছনে চার কোটি টাকার উপরে আর্থিক অনিয়মেরও অভিযোগ তোলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামিতে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে না বলেও আশঙ্কা করেন এই নির্বাচন কমিশনার।
এদিকে কমিশার মাহবুব তালুকদারের এ দাবি অস্বীকার করেছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, সব আইন কানুন মেনেই ১২ এবং ২০ গ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো আইনের ব্যত্যয় ঘটেনি। কমিশনের সাথে সচিবালয়ের কোনো দ্বন্দ্বও নেই বলে তিনি দাবি করেন।
উল্লেখ শুধু মাহবুব তালুকদার একাই এ নিয়োগের প্রতিবাদ করেননি। অন্যান্য কমিশনাররাও এ অভিযোগের ব্যপারে একমত বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গতকাল চার কমিশনার মিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে একটি ইউও নোট দিয়েছেন। এতে তারা বলেছেন, সচিবালয় এককভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে; যা সংবিধান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯ ও সংশ্লিষ্ট বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
/এসএস