

পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে হিন্দুরা ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার উল্লেখ করে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান এবং পারসি শরণার্থীদেরই এই দেশগুলোতে নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত। তাদের ভারতের নাগরিক করে তুলতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজন।’ আসাম সহ গোটা দেশেই এনআরসি হবে বলে এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
রাজ্যসভায় শাহ বলেন, কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ বা এনআরসি থেকে বাদ দেওয়ার বিধান নেই। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজ্যসভায় তিনি একথা বলেন।
অমিত শাহ বলেন, ভারতের যেকোনও নাগরিক এনআরসি তালিকায় স্থান পাবেন। এক্ষেত্রে ব্যক্তির ধর্ম বিবেচ্য নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের থেকে এনআরসি সম্পূর্ণ পৃথক।
লোকসভায় এনআরসি বিল পেশ হয় ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই। সে বছরের ১২ অগাস্ট বিল পাঠানো হয় যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। কমিটি তার রিপোর্ট জমা দেয় ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি। পরের দিন, ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি লোকসভায় সে বিল পাশ হয়। ষোড়শ লোকসভা অধিবেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময়ে সরকার এ বিল রাজ্যসভায় আনার জন্য অতি তৎপর হয়ে ওঠে। কিন্তু, ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা সিনে ডাই হয়ে যায়। বিল আর পেশ করা হয়নি। বুধবার সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্রুত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করা হবে।
আই.এ/