‘পরিবারসহ জীবন ঝুঁকিতে ব্যারিস্টার সুমন’

প্রকাশিত: ৮:৪২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৯

দেশের আদালত পাড়ায় এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল ‘ফেনীর সোনাগাজীর নুসরাত হত্যাকান্ড’। ইতোমধ্যে এ মামলাটির রায় প্রকাশিত হয়েছে। নুসরাত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ১৬ জন আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছেন মহামান্য আদালত।

হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতের রায় এলেও এখন অপেক্ষা এই ঘটনায় নুসরাতের ভিডিও করে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করা ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলার রায়। বছরের এপ্রিল মাসে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন। আগামী ২৮ তারিখ মামলার রায় ঘোষণা করবেন মহামান্য আদালত।

রায়ের তারিখ নির্ধারণের রায়ের সময় আদালতে ব্যারিস্টার সুমন মাননীয় বিচারকের কাছে তাঁর জীবনের শঙ্কা প্রকাশ করেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতা বিবেচনায় একজন ওসির বিরুদ্ধে মামলা করা অত্যন্ত বিপদজনক। ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলা করায় আমি ও আমার পরিবার সারাজীবন ঝুঁকিতে থাকবো।

ব্যারিস্টার সুমন আরো বলেন, এ মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হলে বাংলাদেশে থাকা ৪৮০ টি থানা নিরাপদ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি। থানা ম্যানেজ করার দায়ে অভিযুক্ত সবার মৃত্যুদন্ডের শাস্তি হয়েছে অন্যদিকে যিনি ম্যানেজ হয়ে গেলেন তিনি কেন শাস্তির বাহিরে থাকবেন। তাই, আমি ওসি মোয়াজ্জেমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আশা করছি।

এ ব্যাপারে পাবলিক ভয়েসকে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলায় করা শুরু থেকেই আমি নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছিলাম। আগামী ২৮ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন মহামান্য আদালত। রায়কে ঘিরে আমি আশংকার মধ্যে আছি। আমার মনে হয় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে আমার পরিবারসহ আমি সারা জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকবো। এজন্য আদালতকে আমার শঙ্কার কথা জানিয়েছি’।

প্রসঙ্গ, নুসরাত হত্যাকান্ডের প্রাথমিক পর্যায়েই ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন আরেক অভিযুক্ত ব্যক্তি সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম। নুসরাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম। যা নিমিষেই ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওসি মোয়াজ্জেমের করা ভিডিওটি ব্যারিস্টার সুমনের নজরে আসলে ব্যারিস্টার সুমন নিজেই বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পরবর্তীতে, ব্যারিস্টার সুমনের করা মামলায় অভিযুক্ত ওসি মোয়াজ্জেমকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।মহামান্য আদালত এ মামলাটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব প্রদান করেন।

/এসএস

মন্তব্য করুন