একজন মাওলানা ভাসানী ছিলেন স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা

প্রকাশিত: ৪:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০১৯

উপমহাদেশের রাজনৈতিক প্রবাদ পুরুষ, মা-বাবার চেগা মিয়া- স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের কাছে মাজলুম জননেতা বা ভাসানী নামেই অধিক পরিচিত। হয়তো অনেকেই ভাসানীর আড়ালে তার আসল নামটি হারিয়ে ফেলেন; যেমনটি আজকের স্বাধীনতা উত্তোর বাংলাদেশের বাঙালি, বাংলাদেশি ইতিহাসবিদরা চেগা মিয়াকে হারিয়ে ফেলেন কেবল মাত্র একজন মাওলানা বলে। আমি বলবো না তিনি এদেশের আলেম ওলামা বা মাওলানাদের আদর্শ পুরুষ। কিন্তু নামের আগে মাওলানা থাকায় অনেকের এলার্জি উঠে যায়। যদিও বামপন্থি রাজনীতি করায় কেউ কেউ তিরস্কার করে ‘লাল মাওলানা’ বলেও ডাকেন তাকে। সব বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনার উর্ধ্বে তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

১৯২৬ সালে মাওলানা ভাসানী তার প্রিয়তমা সহধর্মিণী আলেমা খাতুনকে নিয়ে আসাম গমন করেন। সেখানে কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সুত্রপাত ঘটান। ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে প্রথম কৃষক সম্মেলন আয়োজন করেন। এখান থেকে তার নাম রাখা হয় ‘ভাসানীর মাওলানা’। এরপর থেকে তার নামের শেষে ভাসানী শব্দটি যুগলবন্দি হয়ে ওঠে।

পাক-ভার উপমহাদেশের বরেণ্য এই রাজনীতিবিদ মাওলানা ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া পল্লীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা হাজী শারাফত আলী। হাজী শারাফত আলী ও বেগম শারাফত আলী দম্পতির এক মেয়ে ও তিন ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। ছোট থাকতেই বাবা-মা ও দুই ভাইকে হারান আব্দুল হামিদ। এরপর কিছুদিন চাচা ইব্রাহিম খান এবং কিছুদিন ইরাক থেকে আগত পীর সৈয়দ নাসির উদ্দিনের আশ্রয়ে থাকেন। ১৮৯৩ সালে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার জমিদার শামসুদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর বাড়িতে জমিদারের ছেলে-মেয়েকে পড়ান এবং মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। ১৮৯৭ সালে আধ্যাত্বিক গুরু পীর সৈয়দ নাসির উদ্দিনের সাথে প্রথম আসাম গমন করেন। সেখান থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য ১৯০৭ সালে দেওবন্দ যান। সেখানে দুই বছর পড়াশুনা করে আসামে ফিরে যান।

এরপর দেশে ফিরে ১৯২৫ সালে জমিদার কন্যা আলেমা খাতুনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরের বছরই সহধর্মীনিকে নিয়ে পুনরায় আসাম গমন করেন। এবং কৃষক আন্দোলনে যুক্ত হয়ে ব্রিটিশ বিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এর আগে প্রথমবার আসামে গিয়ে বিভিন্ন আন্দোলনের যুক্ত হন। ১৯১৯ সালে গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নিয়ে দশমাস কারাভোগও করেন।

মাওলানা ভাসানীর গোটা রাজনৈতিক জীবনের পাতায় পাতায় জনগণের স্বার্থ রক্ষার দাবিতে করা আন্দোলন-সংগ্রামে ভাস্মর। জনগনের স্বার্থ রক্ষায় তিনি কারো সাথে আপোস করেননি কখনো। নিজ দলের নেতৃত্ব-নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও তিনি আন্দোলন করেছেন গণমানুষের কাতারে এসে। ১৯৪৮ সালের প্রথম দিকে তিনি বঙ্গীয় মুসলিম লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতায় পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন। ক্ষমতায় তখন মুসলীম লীগ। ভাসানী ছিলেন আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি।

ওই বছরই ১৭ মার্চ তিনিই প্রথম স্পিকারের কাছে ব্যবস্থাপক সভার কার্যাবলি বাংলায় পরিচালনার দাবি তোলেন। এর একদিন পর ১৯ মার্চ বাজেট বক্তৃতায় অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কর খড়গের বিরোধীতা করে বক্তব্য দেন। পূর্ব বঙ্গ থেকে আদায়কৃত কর ৭৫ পার্সেন্ট প্রাদেশিক সরকারকে দেয়ার দাবি তোলেন ভাসানী। সরকারী দলের লোক হয়েও সরকারের সমালোচনা করায় নিজ দলের বিরাগভাজন হন মাওলানা ভাসানী। নিজ দলের সদস্যরা তার বিরুদ্ধে মামলাও করেন নির্বাচনে ত্রুটির অভিযোগ তুলে। তৎকালীন গভর্নরের নির্বাহী আদেশে নির্বাচন বাতিলও করা হয়।

নিজ দলের জনবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে ১৯৪৯ সালের ২৩-২৪ জুন ঢাকার টিকাটুলিতে রোজ গার্ডেনে মুসলিম লীগ কর্মী সম্মেলন আহ্বান করেন ভাসানী। গঠন করেন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলীম লীগ। সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হন ভাসানীর মাওলানা। সহ-সভাপতি হন আতাউর রহমান খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আলী আহমদ। সাধারণ সম্পাদন নির্বাচিত হন শামসুল হক। শেখ মুজিবুর রহমান, খন্দকার মোশতাক আহমদ ও এ কে রফিকুল হোসেন ছিলেন এই কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এভাবেই পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতির নেতৃত্বে মাওলানা ভাসানী কেন্দ্রীভুত হন।

১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা জেলার বার লাইব্রেরি হলে ভাসানীর সভাপতিত্বে এক সভায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠিত হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সমর্থনের কারণে চতুর্থবার কারারুদ্ধ হয়ে ১৬ মাস কারা নির্যাতনের শিকার হন। এর আগে প্রথমবার অসহযোগ আন্দোলনের পর পাকিস্তান আন্দোলনের সময় (১৯৪৭ সালে) আসামে এবং ১৯৪৯ সালে ভূখা মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ায় মুসলীম লীগ সকারের হাতেই কারারুদ্ধ হয়েছিলেন। পূর্ব বাংলায় খাদ্যজনিত দুর্ভিক্ষ রোধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৫০ কোটি টাকা আদায়ের দাবিতে ১৯৫৬’র ৭ মে ঢাকায় অনশন ধর্মঘট করে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করেন।

১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আওয়ামী মুসলীম লীগ পাকিস্তান অংশের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে কোয়ালিশন সরকার গঠন করে। এসময় সোহরাওয়ার্দীর পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে সরব হন ভাসানী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক চুক্তির প্রবল বিরোধীতা করেন। টাঙ্গাইলে কাগমারী সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দীকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন,‘‘শহীদ, তুমি আজ আমাকে পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি সমর্থন করতে বলছো। তুমি যদি আমাকে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করো, আমি বলবো, ‘না’! তুমি যদি আমাকে কামানের সামনে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করো আমি বলবো ‘না’! ‘না’। তুমি যদি আমাকে আমার কবরে গিয়েও জিজ্ঞেস করো সেখান থেকেও আমি চিৎকার করে বলবো, ‘না’ ‘না’ ‘না’’।

সোহরাওয়ার্দী সরকারের বিরোধীতার মুখেই ১৯৫৭ সালে টাঙ্গাইলের কাগমারীতে জাতীয় সম্মেলনের আহ্বান করেন মাওলানা ভাসানী। ৮,৯,১০ ফেব্রুয়ারি তিনদিনব্যাপী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ডক্টর কাজী মোতাহার হোসেন। পাকিস্তান-বাংলাদেশের রাজনীতিরি ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্যমন্ডিত এই সম্মেলনই ইতিহাসে কাগমারী সম্মেলন হিসেবে খ্যাত।

ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন থেকেই পূর্ব বঙ্গের বিচ্ছিন্নতার ঘোষণা দেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। মাওলানা ভাসানীর সেদিনকার তেজদীপ্ত ঘোষণা সালাম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করেছিলো। পাকিস্তানের তখনকার শাসক স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে সামনে বসিয়েই মাওলানা ভাসানী স্বাধীন বাংলার ইঙ্গি দিয়েছিলেন। পাকিস্তানী শাসকদের হুশিয়ার করে তিনি বলেছিন, ‘‘যদি পূর্ব পাকিস্তানে শোষণ অব্যাহত থাকে তবে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানকে ‘আসসালামু আলাইকুম’ জানাতে বাধ্য হবেন’’। পাকিস্তানকে মাওলানা ভাসানীর এই বিদায়ী ‘সালাম’ অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সৃষ্টিতে তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতারই জলন্ত দৃষ্টান্ত বহন করে। যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রেরণা যোগায়।

কাগমারী সম্মেলনে সোহরাওয়ার্দীর নিকট পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি প্রত্যাহারের দাবি তোলেন ভাসানী। দাবি প্রত্যাখান করায় মার্চের ১৮ তারিখ আওয়ামী লীগ থেকেই পদত্যাগ করে বসেন মাওলানা ভাসানী। এর পর থেকে শুরু হয় তারই রাজনৈতিক সহচর অনুজদের বিরুদ্ধে গণমানুষের রাজপথের আন্দোলন। যা তিনি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত করে গেছেন। ওই বছরেরই ২৫ জুলাই গঠন করেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। ৭ অক্টোবর সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর সোহরাওয়ার্দীর সরকার হটিয়ে ১২ অক্টোবর ক্ষমতা দখল করেন আইয়ুব খান। ওইদিনই চিকিৎসাধীন মাওলানা ভাসানীকে কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় দীর্ঘ ৪ বছর ১০ মাস কারা প্রকোষ্ঠে ছিলেন মাওলানা ভাসানী।

৬৬’তে শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফার বিরোধীতা করলেও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় মুজিবসহ আসামীদের মুক্তিতে সরব ভুমিকা রাখেন। ৬৯’র এর গণঅভ্যত্থানে রাখেন বলিষ্ঠ ভূমিকা। ১৯৬২-র ২৬ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত বন্যাদুর্গতদের সাহায্য ও পাটের ন্যায্যমূল্যসহ বিভিন্ন দাবিতে কারাগারেই অনশন ধর্মঘট পালন করেন। ৩ নভেম্বর মুক্তিলাভ করেন। কারামুক্ত হয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্রাটিক ফ্রন্ট-এর রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হন।

৭০ এর নির্বাচনের আগে ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় হলে ত্রান কাজে অংশগ্রহণের জন্য ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাপ প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। ডিসেম্বরের ৪ তারিখে পল্টেনে এক সমাবেশে প্রথম প্রকাশ্যে ‘স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান‘ গঠনের দাবি উত্থাপন করেন। ১৯৭১-এর ১৮ জানুয়ারি অপর এক জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার আহ্বান জানান মাওলানা ভাসানী। মার্চে শেখ মুজিবের অসহযোগ আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে মুজিব নগর সরকারের ৮ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

৭২’ এর ২২ জানুয়ারি দেশে ফিরেই মুখোমুখি হন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি বঙ্গবন্ধুর ভারত-মৈত্রী চুক্তির প্রবল বিরোধীতা করেন। তবে মুজিব সরকারের জাতীয় করণ নীতি ও ৭২’ এর সংবিধানের প্রতি সমর্থন জানান। ৭৩’ এ ফের সরকার বিরোধী আন্দোলনে নামেন মাওলানা ভাসানী। ফের খাবারের দাবিতে ভূখা আন্দোলনে নেমে অনশন ধর্মঘট করেন তিনি। এমনকি সরকার বিরোধী আন্দোলন করে জুনে গৃহবন্দী পর্যন্ত হন। উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই রাজনীতিবিদ ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

বিংশ শতাব্দিতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জীবনের সবকটা মুহুর্ত গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন। পাকিস্তান আন্দোলন, বাংলাদেশ আন্দোলনের নানান সময়ে নেতৃত্বের কেন্দ্রে থাকা সত্তেও কখনোই ক্ষমতার কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেননি তিনি।

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্বপ্নদ্রষ্টা ভাসানীর কাগমারী আন্দোলনের তাৎপর্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ সম্মেলন থেকেই তিনি পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের ইঙ্গিত দেন। পাকিস্তানিদের বিদায়ী ‘সালাম আসসালামু আলাইকুম’ জানিয়ে বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দেন। পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর অগণতান্ত্রিক আচরণ ও পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের কারণেই তিনি সেদিন বিদায়ী সালাম জানাতে বাধ্য হন।

প্রখ্যাত গবষেক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ তার ‘কাগমারী সম্মেলন’ গ্রন্থে এ সম্মেলনকে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে মাইলফলক আখ্যা দিয়ে বলেন, কাগমারী সম্মেলনের ইতিহাস ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস রচিত হতে পারে না। তিনি এ মহান নেতাকে সমসমায়িক রাজনীতিকদের সাথে অতুলনীয় হিসেবে অভিহিত করেন। এমনকি অগ্রজ মহাত্মা গান্ধীর সাথেও তার তুলনা যায় না বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মাওলানা ভাসানীকে উপমহাদেশের অন্য কোনো নেতার সাথে তুলনা করে বিচার করা সম্ভব নয়। মহাত্মা গান্ধী কিংবা সমসাময়িক শেরে বাংলা ফজলুল হক, সুভাষচন্দ্র বসুর মতো তো নন; আচার্য বিনোবা কিংবা জয় প্রকাশ নারায়ণের মতোও তিনি নন। তিনি একেবারেই ভিন্ন এক রাজনৈতিক চরিত্র। প্রথাগত রাজনীতিবিদদের মাপকাঠিতে তাকে পরিমাপ করা যাবে না। তিনি বলেন, উপমহাদেশে অনেক জনপ্রিয় নেতা আছে কিন্তু মহান নেতা খুবই বিরল। মাওলানা ভাসানী ছিলেন জনপ্রিয় মহান নেতা।

শাহনূর শাহীন
কবি ও কলামিস্ট, যুগ্ম সম্পাদক পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন