

মসজিদ নির্মাণের জন্য কোনও মন্দির ভাঙা হয়নি। আমরা মসজিদ ফেরত চাই। ভারতের সংবিধান ও বহুত্ববাদের বিরুদ্ধে যায় এমন যেকোনও কিছুর বিরোধিতা করবো। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দেশটির সংবাদমাধ্যম আউটলুক’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান ও লোকসভার এমপি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এসব কথা বলেন।
আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘আমাদের লড়াই শুধু এক খণ্ড জমির জন্য ছিল না, আমাদের লক্ষ্য ছিল আইনি অধিকার নিশ্চিত করা। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে, মসজিদ নির্মাণের জন্য কোনও মন্দির ভাঙা হয়নি। আমি আমার মসজিদ ফেরত চাই।’ হায়দরাবাদ থেকে নির্বাচিত এই আইনপ্রণেতা আরও বলেন, ‘আমার জন্য, সংবিধানই সর্বোচ্চ এবং এটা আমাকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সম্মানজনকভাবে দ্বিমত পোষণের অধিকার দিয়েছে। যা সংবিধানের বিরুদ্ধে যায়, তার আমি বিরোধিতা করবো।’
শতাব্দী প্রাচীন বিবাদের আইনি ইতি টেনে ৯ নভেম্বর (শনিবার) অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশে বলা হয়েছে, বিতর্কিত ২ দশমিক ৭৭ একর জমিতে গড়ে উঠবে রাম মন্দির। আর অযোধ্যার যেকোনও স্থানে মসজিদের জন্য বরাদ্দ করা হবে ৫ একর জমি।
সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি খোঁজা শুরু করে উত্তর প্রদেশ সরকার। তবে মুসলিম পক্ষের অন্যতম বাদী ইকবাল আনসারীসহ স্থানীয় মুসলিম নেতারা জানিয়ে দেন জমি বরাদ্দ করতে হলে অধিগ্রহণ করা জমি থেকেই করতে হবে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় ঘোষণার পর এর সমালোচনা করে ওয়াইসি বলেছেন, ‘মুসলমানদের দানের পাঁচ একর জমির প্রয়োজন নেই।’
এর আগে শুক্রবার বাবরি মসজিদ ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে টুইটে পোস্ট করেছেন এআইএমআইএম-র প্রধান।
ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর ওয়াইসি এ আদালত নিয়ে লেখা একটি বই ‘সুপ্রিম বাট নট ইনফলিবল’র ছবি টুইট করেন। একই দিন একটি সংবাদ সম্মেলনে ওই রায়ের সমালোচনা করে আসাদুদ্দিন বলেন, ‘যদি বাবরি মসজিদ আইনত বৈধ হয়, তাহলে কীভাবে আদভানি (এলকে আদভানি) ওই জমি পাবেন। এটা তথ্যপ্রমাণের ওপর বিশ্বাসের জয়।’
আই.এ/