ইসলামফোবিয়ার বিপক্ষে ফ্রান্সে বিশাল বিক্ষোভ র‍্যালী

প্রকাশিত: ১২:৫৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৯

ইসলামফোবিয়া দুর করে সবাইকে সচেতন করা এবং মুসলমানদের প্রতি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ভুল ধারণা দুর করার লক্ষে পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে বিশাল বিক্ষোভ র‍্যালী হয়েছে। ফ্রান্সের প্যারিসে রোববার ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে এই সমাবেশে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এছাড়াও প্যারিসের পাশাপাশি মার্সেই শহরেও বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেখানেও কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন৷

পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস৷ পিউ রিসার্চের ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদন বলছে, ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮.৮ শতাংশ মুসলমান৷ সংখ্যার হিসেবে তা প্রায় ৫৭ লাখ ২০ হাজার জন৷ ‘ইফপ’ নামের এক সংস্থার জরিপ বলছে, ফ্রান্সের ৪০ শতাংশের বেশি মুসলমান ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন৷

এদিকে, ফ্রান্সের ৮৪ বছর বয়সি সাবেক এক উগ্রপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট সম্প্রতি একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছেন৷ এতে দুজন আহত হয়েছিলেন৷ সেখানে কয়েকটি সচেতন সংগঠন ও ফেয়ার গণমাধ্যমের উদ্যোগে রবিবারের সমাবেশটি আয়োজিত হয়৷ ‘অকারেন্স’ নামের একটি সংগঠন বলছে, এতে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন৷ অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা নির্ধারণ করতে এএফপিসহ কয়েকটি গণমাধ্যম অকারেন্সকে দায়িত্ব দিয়েছিল৷

বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করা মুসলিমরা এমনকি অনেক অমুসলিমরাও ধর্মীয় রীতি নীতি পালনে মুসলমানরা বাধার সম্মুখিন হওয়ার অভিযোগ করেছেন। ফ্রান্সের মত একটি উন্নত দাবিদার একটি দেশে এমন বৈষম্যের বিষয়টি দৃষ্টিকটু এবং সভ্যতার সাথে গাদ্দারী বলে মনে করেন অনেকে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একটি গাড়ি কোম্পানিতে প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করা ২৯ বছর বয়সি নারী আসমা ইউমোসিদ নেকাব পরে সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ইসলাম ও পর্দা করা নারীদের সম্পর্কে ইদানীং অনেক বাজে কথা শোনা যায়৷’’। নাদজেত ফেলা নামের এক নার্স বলছেন, তিনি আলজেরিয়ায় নেকাব পরার চাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন৷ রবিবারের সমাবেশেও তিনি ছিলেন৷ ফেলা বলেন, ‘‘আমি নেকাব না পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিন্তু যারা এটা পরেন তাদের আলাদা করে দেখার বিষয়টি আমাকে আহত করে৷’’

সূত্র : ডয়চে ভেলে, এএফপি।

মন্তব্য করুন