

জর্দানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ দখলদার ইসরাইলের কাছে ইজারা দেয়া দু’টি ছিটমহলের ওপর তার দেশের সার্বভৌমত্বের কথা ঘোষণা করেছেন। রোববার (১০ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে বলেন, ২৫ বছর আগে তেল আবিবের সঙ্গে স্বাক্ষরিত এক দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে ওই দুই ছিটমহল ইসরাইলের কাছে ইজারা দেয়া হয়েছিল এবং সে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এর মালিকানা এখন জর্দান ভোগ করবে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর।
খবরে বলা হয়, ঘুমার ও আল-বাকুরা নামক ওই দুই খণ্ড ভূমির ‘প্রতি ইঞ্চির’ ওপর জর্দানের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করেন রাজা আব্দুল্লাহ। ছয় বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ছিটমহল ‘বাকুরা’ জর্দানের উত্তরাঞ্চলীয় ইরবিদ প্রদেশে অবস্থিত। ইহুদিবাদী ইসরাইলের নিয়ন্ত্রিত দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ‘কিনেরেত’ এলাকার দক্ষিণে এর অবস্থান।
অন্যদিকে চার বর্গকিলোমিটার আয়তনের ‘ঘুমার’ জর্দানের দক্ষিণাঞ্চলীয় আকাবা প্রদেশের অংশ এবং ইসরাইল অধিকৃত মৃত সাগরের দক্ষিণে এটির অবস্থান। ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিনি নেতানিয়াহু ও জর্দানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ (ফাইল ছবি) ১৯৯৪ সালের ২৬ অক্টোবর ইসরাইল ও জর্দানের মধ্যে স্বাক্ষরিত ২৫ বছর মেয়াদি এক চুক্তির ভিত্তিতে ওই দুই খণ্ড ভূমি তেলআবিবকে ইজারা দিয়েছিল জর্দান।
চুক্তিতে বলা হয়েছিল, কোনো পক্ষ আপত্তি না তুললে এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হয়ে যাবে। কিন্তু জর্দান সে চুক্তি নবায়নে ইচ্ছুক নয় এবং বিষয়টি গত বছরের অক্টোবরে তেল আবিবকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে আম্মান।
রাজা আব্দুল্লাহ গতকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেন, ‘আমরা তেল আবিবকে জানিয়েছি যে, বাকুরা ও ঘুমার ইজারা দেয়ার চুক্তি আর নবায়ন হবে না।’ ১৯৯৪ সালে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে এতদিন ইসরাইলি কৃষকরা ওই দুই ভূমিতে চাষাবাদ করে আসছিল। কিন্তু গতকাল (রোববার) তাদেরকে ওই ছিটমহলে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
আই.এ/