

অযোধ্যা মামলার রায় পড়ে শোনাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ
* এই ট্রাস্ট তৈরির জন্য কেন্দ্রকে এগিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে
* অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির জন্য ৩ মাসের মধ্যে ট্রাস্ট তৈরি করতে হবে
* মসজিদ বানানোর জন্য মুসলিম পক্ষকে ৫ একর বিকল্প জমি দিতে হবে
* শর্ত সাপেক্ষে এই জমি হিন্দুদের হাতে দেওয়া হোক
* মুসলিমদের জন্য বিকল্প জমির ব্যবস্থা হবে
* জমির মালিকানার পক্ষে প্রমাণ দেখাতে পারেনি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড
* যে কাঠামো ভেঙে বাবরি মসজিদ তৈরি হয়েছিল তা মসজিদ নয়। তবে তা যে মন্দির ছিল তাও নির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় না।
* বাবরি মসজিদ খালি জায়গায় ওপর তৈরি হয়নি
* ধর্মবিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে আদালত রায় দিতে পারে না।
* রাম যে অযোধ্যায় জন্মেছিলেন হিন্দুদের এই বিশ্বাসের ওপর প্রশ্ন তোলা যায় না।
* জমির দখল নিয়ে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড যে দাবি করছে, তার যথাযথ প্রমাণ দিতে পারেনি।
* ১৯৯২ সালে মসজিদ যে ভাঙা হয়েছে, তা আইনবিরুদ্ধ
* অযোধ্যায় রামের জন্ম নিয়ে হিন্দুদের বিশ্বাস অনস্বীকার্য।
* ১৮৫৬-৫৭ সালের মধ্যে য নথি মিলেছে, হিন্দুদের পুজো করাতে কোনও বাধাদান দেওয়া হয়নি।
রায় ঘিরে অশান্তি এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে গোটা উত্তরপ্রদেশে। দুর্গে পরিণত হয়েছে অযোধ্যা। সোমবার পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই নির্দেশ জারি হয়েছে কর্নাটক ও মধ্যপ্রদেশেও। অন্য দিকে সব রাজনৈতিক দল ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন।
গত ৬ অগস্ট থেকে কোনও বিরতি ছাড়া টানা শুনানি চলেছে অযোধ্যা মামলার। তার পর ১৬ অক্টোবর রায়দান সংরক্ষিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত। অবশেষে শুক্রবার আচমকাই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আজ শনিবার রায়দানের কথা। তার আগে নিজের চেম্বারে ডেকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব এবং ডিজির সঙ্গে কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস