সৌদি তরুণীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কয়েক দিন লাগবে: ইউএনএইচসিআর

সৌদি তরুণী

প্রকাশিত: ১০:২০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট: সৌদি তরুণীর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কয়েকদিন সময় লাগবে। মঙ্গলবার ব্যাংককে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর একথা জানিয়েছে।

থাই কর্তৃপক্ষ তাকে বহিস্কার করতে চাইলেও নানা চাপের কারণে তারা ব্যর্থ হয়।

সপ্তাহান্তে রাহাফ মোহাম্মদ আল কুনুন নামের ওই সৌদি তরুণী তার পরিবারের কাছ থেকে পালিয়ে কুয়েত থেকে একটি ফ্লাইটে করে ব্যাংককের প্রধান বিমানবন্দরে আসেন।

তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী বলেন, তার অস্ট্রেলিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার পরিকল্পনা ছিল।

থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্মকর্তারা রোববার রাহাফকে বিমানবন্দরে আটক করে। দেশে ফেরত পাঠানো হলে তাকে হত্যা করা হবে বলে তরুণীটি আশঙ্কা প্রকাশ করে।

প্রাথমিকভাবে থাই কর্তৃপক্ষ রাহাফকে সৌদি আরবে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ওপর নির্যাতনের কথা ফাঁস হয়ে পড়লে তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোমবার তাকে ইউইনএইচসিআর এর তত্ত্বাবধায়নে বিমানবন্দর ত্যাগ করার অনুমতি দেয়।
জাতিসংঘ সংস্থাটি জানায়, তারা থাই অভিবাসন কর্মকর্তাদের ওপর ‘অত্যন্ত কৃতজ্ঞ’ যে তারা রাহাফের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে সৌদি আরবে ফেরত পাঠায়নি।

থাইল্যান্ডে ইউএনএইচসিআর এর প্রতিনিধি গিসেপ ডি ভিসেন্টিস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাহাফের আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে কয়েক দিন লাগতে পারে। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

থাইল্যান্ড জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। আশ্রয়প্রার্থীদের নিজ দেশে হস্তান্তর বা তৃতীয় কোন দেশে পাঠাতে কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয়।
এদিকে ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, কেউ যদি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে তার দেশে ফেরত পাঠানো উচিত নয়।

সৌদি দূতাবাস থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলা হয়নি।
টুইটারে দূতাবাস থেকে রাহাফের সঙ্গে দেখা করার জন্য সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে কর্মকর্তাদের পাঠানোর কথা অস্বীকার করা হয়।
তার বাবা ব্যাংককে পৌঁছেছেন। তবে খবরটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। (বাসস নিউজ)

মন্তব্য করুন