

ইসমাঈল আযহার: প্রায় দু’মাসের মাথায় পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া পৃথিবীর ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীর থেকে। জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের যাতায়াতের ওপরে চলতি বছরের আগস্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। পর্যটকেরা কাশ্মীরে বেড়াতে এলে তাদের সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে বিছিন্ন।
সূত্রের খবরে বলা হয়, ভারতের সরকার আশঙ্কা রয়েছে, বাড়তি বাহিনী সরে গেলেই উপত্যকায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাবে। সেই অশান্ত ছবিকে মাথায় রেখে, মোবাইল-ইন্টারনেট বন্ধ কাশ্মীরকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়াটা আসলে লোক দেখানো পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন উপত্যকার ব্যবসায়ীদের একাংশ।
গত ৫ আগস্ট বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার ঠিক দু’দিন আগে গোটা রাজ্য থেকে পর্যটকদের তড়িঘড়ি বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। সেই থেকে কার্যত পর্যটক শূন্য কাশ্মীর। অতীতে অশান্ত কাশ্মীরেও দুর্গাপুজোর সময়ে বাঙালি পর্যটকদের পরিচিত আনাগোনা দেখা গিয়েছে। এখন তা-ও না-থাকায় কার্যত পথে বসেছে অধিকাংশ পর্যটন সংস্থা। চলতি অচলাবস্থা পর্যটন শিল্পের কোমর ভেঙে দিয়েছে বলেই দাবি কাশ্মীর হোটেল শিল্প সংগঠনের সভাপতি আসিফ বুরজার।
তিনি বলেন, ‘পর্যটন শিল্পের ঘুরে দাঁড়াতে প্রচুর সময় লেগে যাবে। এক দিকে মোবাইল-ইন্টারনেট বন্ধ। অন্য দিকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। পর্যটকেরা যে বেশ কিছু দিন মুখ ফিরিয়ে থাকবেন সেই দেওয়াল লিখন স্পষ্ট।’ আপাতত বুরজারা দীপাবলি ও শীতে পর্যটকের আগমনের ভরসায় বুক বাঁধছেন। কিন্তু যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বলে কিছু নেই সেখানে কেন লোক আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
তিনি আর বলেন, ‘পর্যটক ও সংস্থাগুলির আধিকারিকেরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। দ্রুত মোবাইল পরিষেবা চালু করতে হবে।’
স্বাভাবিক অবস্থায় না ফিরলেও প্রশাসন দাবি করছে, রাজ্যের পরিস্থিতি শান্ত। পর্যটকদের আস্থা ফেরাতে তাই দেশ জুড়ে প্রচারে দ্বিগুণ জোর দেওয়া হচ্ছে। দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে হোর্ডিং ছাড়াও, পর্যটকদের তথ্য জোগাতে বসছে কিয়স্ক। বিদেশি পর্যটক টানতে বিশেষ প্রচার চালানো হবে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াতে।
আই.এ/