

পারস্য উপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকায় নৌ-চলাচলের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক নৌ-সামরিক জোটে যোগ দেবে না ইরাক। গতকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা দেয় বাগদাদ। তারা বলছে, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে ওই সামরিক জোট।
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওই জোটে যোগদানের পরপরই ইরাকের এই ঘোষণা আসলো। চলতি বছরের মে মাসে ওমান উপসাগরে চারটি ট্যাংকারে হামলার পর জুন মাসে ওই এলাকায় আরও দুটি ট্যাংকারে হামলা হয়।ওই সময় তেল ট্যাংকারের ওপর হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। শুরু থেকেই তেহরান ওই অভিযোগ অস্বীকার করে।
জুন মাসে ট্যাংকারে হামলার কয়েক দিনের মাথায় একটি চালকবিহীন ড্রোন ভূপাতিত করে ইরানি বাহিনী। দেশটির দাবি, ড্রোনটি তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল। আর ওয়াশিংটনের দাবি, ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমাতেই ছিল। এরপরই পারস্য উপসাগরে ইরান ও ইয়েমেন সংলগ্ন পানিসীমার সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নৌ-সামরিক জোট গঠন করা হয়।
ইতোমধ্যে ওই জোটে যোগ দিয়েছে সৌদি আরব, বাহরাইন, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, ইসরায়েলও যুক্তরাজ্য। সর্বশেষ ওই জোটে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গে সৌদি আরব পারস্য উপসাগরের যৌথভাবে টহল শুরুর পর বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত ওই জোটে যোগ দেয়। এর পরপরই ইরাকের পক্ষ থেকে ওই বিবৃতি দেওয়া হলো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াম মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটে আবুধাবির যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস