
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ক্যাসিনোতে (জুয়ার আড্ডা ঘর) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ক্লাবগুলো থেকে মোট ৩৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে ইয়াংমেন্স ক্লাব থেকে জব্দ ২৪ লাখ ২৯ হাজার, আটক ১৪২ জন।
মতিঝিলের ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব থেকে জব্দ ১০ লাখ ২৭ হাজার আসল টাকা ও ২০ হাজার ৫০০ জাল টাকা। এছাড়া গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬০০ আটক ৪০ জন। এছাড়াও অপর অভিযানে বনানীর গোল্ডেন ঢাকা ক্যাসিনো সিলগালা করা হয়।
এতে আটক হয় মোট ১৮২ জন। এদের মধ্যে ৩১ জনকে ১ বছর করে, বাকিদের ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার মালিকানাধীন রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান হয় বুধবার দুপুরে। এ সময় বিপুল পরিমাণ টাকা, মাদকদ্রব্য ও জোয়া খেলার সামগ্রী জব্দ করা হয় বলে জানা গেছে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, জুয়া চলছে এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে ফকিরাপুলে ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালানো হয়।
ইয়ংমেনস ক্লাব থেকে ১৪২ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, আমরা ক্লাবটিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছি। ক্লাবের ভেতর থেকে নগদ ২৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া আটকদের ৬ মাস থেকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ক্যাসিনোর আড়ালে ক্লাবটিতে মাদক ব্যবসা চলত বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার।
রাত ৯টার দিকে মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাব অভিযানে ১০ লাখ ২৭ হাজার আসল টাকা ও ২০ হাজার ৫০০ জাল টাকা জব্দ করা হয়। একই সময়ে অপর এক অভিযানে বনানীর আহম্মেদ টাওয়ারে গোল্ডেন ঢাকা ক্যাসিনো সিলগালা করা হয়।
এরপর রাত ১০টার দিকে অভিযান চালানো হয় গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্লাবে। র্যাব-৩ এর অধিনায়ক শাফি উল্যাহ বুলবুল জানান, মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র ক্লাব থেকে তিন লাখ ৩৯ হাজার টাকা, কষ্টি পাথর, মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে সাতটি জুয়ার বোর্ড রয়েছে। এর মধ্যে দুইটি ভিআইপিদের।
রাজধানীর গুলশানে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ আটক হওয়া যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদও এই ক্লাবে জুয়া পরিচালনাকারীদের অন্যতম বলে অভিযোগ রয়েছে।
/এসএস
