কাশ্মীরি শিশুদের সহায়তা করুন; জাতিসংঘের প্রতি মালালার আহ্বান

প্রকাশিত: ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে স্কুলশিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী পাকিস্তানি মালালা ইউসুফজায়ী। শনিবার একাধিক টুইটে তিনি বলেন, কাশ্মীরে যেন শিক্ষার্থীরা নিরাপদে আবার স্কুলে ফিরতে পারে সে বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যেন আলোচনা হয়।

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। লাদাখ ও কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে বিল পাস হয়।

এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। সড়কগুলোতে গড়ে তোলা হয় কাঁটাতারের বেরিক্যাড। টেলিফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় অনেকেই নিজেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। ৩৯ দিন পর তুলে নেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা।

এর আগে কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিল করে এলাকাটিকে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কয়েকদিনের মাথায় মালালা টুইটার পোস্টের মাধ্যমে নিজের অবস্থান জানিয়েছিলেন। সেসময় তিনি কাশ্মীর সংঘাতের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট টেনে টুইটারে লেখেন, ‘যখন আমি শিশু ছিলাম, যখন আমার মা-বাবা শিশু ছিলম, এমনকী যখন আমার দাদা-দাদী তরুণ ছিল; তখন থেকেই কাশ্মীরের জনগণ বসবাস করছে সহিংসতার মধ্যে। বিগত সাতটি দশক কাশ্মীরের শিশুরা বেড়ে উঠছে মাত্রাতিরিক্ত সহিংসতার মধ্যে।’

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর এক টুইটে মালালা বলেন, ‘আমি আটককৃত ৪ হাজার কাশ্মীরিয়ে উদ্বিগ্ন, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। অনেকে ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে স্কুলে যায়নি। অনেক মেয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না।

বিশ্বনেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনকে সামনে রেখে নেতাদের বলতে চাই আপনারা কাশ্মীরিদের আওয়াজ শুনুন, সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে কাজ করুন এবং শিশুরা যেন নিরাপদে স্কুলে ফিরতে পারে সেই সহায়তা করুন।

কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মালালা বলেন, তিনি তিন জন কাশ্মীরি কিশোরীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের অভিজ্ঞতা প্রায় একইরকম ছিলো। কাশ্মীর একদম নিশ্চুপ। কার সাথে কি হচ্ছে বোঝার কোনও উপায় নেই। পরিস্থিতি সত্যিই অনেক ভয়াবহ।

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন