

সিঙ্গুর থেকে নবান্ন, ছাত্র-যুব আন্দোলন যখন হাওড়ার মল্লিক ফটকে পৌঁছেছে, তখনই এলাকার উঁচু বাড়ির ছাদ থেকে করা যেন ইটবৃষ্টি শুরু করলো। অভিযোগ, বাড়ির উপর থেকেই বোমা ছুঁড়ে মারা হলো। কিন্তু করা এইসব করেছে? বাম ছাত্র যুব সংগঠন গুলির অভিযোগ , ছাদের উপর তৃণমূল-বিজেপি হাত মিলিয়েছে। মিছিলের উপর ইট বোমা ছুড়েছে। ঘটনা ঘটেছে পুলিশের চোখের সামনেই।
প্রায় দেড় ঘন্টার তাণ্ডবের পর আহত ছাত্র ছাত্রীদের হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। এদিকে মিছিলকারীরা আদালতে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিওয়াইএফ রাজ্য শীর্ষ নেতা সায়ানদীপ মিত্র বলেন, বাড়ির ছাদের উপর থেকে বিজেপি-তৃণমূল ইট ও বোমা মেরেছে। পুলিশের চোখের সামনেই মেরেছে। ছাত্র যুবদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর পুলিশ-তৃণমূল-বিজেপির ছেলেরা আক্রমণ চালিয়েছিল। এই ছাত্ররা চাকরি চাইতে গিয়েছিল। বামপন্থি ছাত্র যুবদের এই মিছিল ঔরব ঘোষিত।
প্রায় এক মাস আগেই এই মিছিলের ঘোষণা করা হয়েছিল। শুক্রবার কিছুক্ষণ আগেই যখন মিছিল পুলিশ ব্যারিকেট এর সামনে পৌঁছয় তখন মিছিল থেকে ৫ জন মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দিতে চান। সেই সময় ইটবৃষ্টি শুরু হয়। ছাত্রদের দিক থেকেই প্রথম ইট ছুটে আসে। ছাত্রযুব দের অভিযোগ, তাদের দিকে পুলিশ ইট মেরেছে। এর কিছুক্ষণ পরই ছাদের উপর থেকেও বোমা , ইট নেমে আসে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি বিরোধী অবস্থান নিয়ে কলকাতার রাস্তায় হেঁটেছেন বৃহস্পতিবার।
সেই দিনই সিঙ্গুর থেকে ছাত্র-যুব’রা শিল্প এবং কর্মসংস্থান চেয়ে নবান্নের দিকে রওনা দিয়েছে। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার সিঙ্গুর থেকে পায়ে হেঁটে মিছিল নবান্নে পৌঁছতে চাইলেও তা পারেনি। তবে মিছিলের উদ্দেশ্য অনেকাংশে সফল হয়েছে। প্রশ্ন তোলা গিয়েছে, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে – সিঙ্গুরে ঠিক কি হয়েছে? শিল্প না কৃষি। যে সিঙ্গুরে জমিকে রক্ষ করার দোহাই দিয়ে তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন, সেখান তার সরকার কী সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে? যে জমি চাষিরা ফেরত পেয়েছেন, সেখানে কি আদৌ ভালো চাষ হতে পেরেছে। সেখানে কি আগামী দিনে কোনও শিল্প হওয়া সম্ভব?
আই.এ/পাবলিক ভয়েস