

সারা বিশ্বে গড়ে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মঘাতী হচ্ছেন। সেই হিসেবে ঘণ্টায় আত্মহত্যা করছেন ৯০ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও) সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ডব্লিইএইচও-এর মতে এই ধারার মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। এজন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন’ নামের সংগঠন প্রতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ পালন করে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো ‘ওয়ার্কিং টুগেদার টু প্রিভেন্ট সুইসাইড’ অর্থাৎ ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করা’। দিনটিকে সামনে রেখে আত্মহত্যা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। নতুন এই রিপোর্ট বলছে, প্রতি ছয় মিনিটে ৯ জন মানুষ মারা যাচ্ছেন আত্মহত্যায়। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার হার হ্রাস পেয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
ডব্লিউএইচও বলছে, প্রতিবছর ৮ লাখ মানুষ মারা যান শুধু আত্মহত্যায়। যা ম্যালেরিয়া, স্তন ক্যান্সার বা যুদ্ধ এমনকি হত্যাযজ্ঞের কারণে মারা যাওয়ার চেয়েও বেশি। আত্মহত্যাকে ‘বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের গুরুতর সমস্যা’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই ধারার মৃত্যু দ্রুত কমিয়ে আনার অন্যতম কার্যকর উপায় হতে পারে কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ করা। আত্মহত্যায় প্রায়ই কীটনাশকের ব্যবহার হয়ে থাকে আর প্রচণ্ড বিষাক্ত এসব কীটনাশকের কোনও প্রতিষেধক না থাকায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে।
এছাড়া প্রায়ই দুর্গম এলাকায় কীটনাশক ব্যবহার হওয়ায় কাছাকাছি কোনও চিকিৎসা সহায়তার সুযোগ থাকে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে শ্রীলঙ্কার গবেষণার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে দেশটিতে কীটনাশক নিষিদ্ধ করায় আত্মহত্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ৭০ শতাংশ কমে গেছে। ফলে ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে অন্তত ৯৩ হাজার মানুষের জীবন রক্ষা করা গেছে।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস