ইরানে পাক দূতাবাস থেকে ভারত বিরোধী ব্যানার খুলে নিল পুলিশ

প্রকাশিত: ৯:০৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯

ইরানে পাক দূতাবাস থেকে ভারত বিরোধী ব্যানার খুলে নিল ইরান পুলিশ। গত ১৫ অগাস্ট পাকিস্তান ‘কাশ্মীর সলিডারিটি ডে’র সমর্থনে ব্যানার টাঙিয়েছিল উত্তর ইরানের মাশহাদে পাক দূতাবাসে। গভীর রাতে এসে ভারত বিরোধী সেই ব্যানার খুলে নেয় পুলিশ। তেহরানের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে এনিয়ে সাফ জানানো হয়েছে, কোনও দেশের বিরুদ্ধে এই ধরনের ব্যানার টাঙানো কূটনীতির পরিপন্থী। এই ধরনের কাজকর্ম বরদাস্ত করবে না ইরান সরকার।

পাশাপাশি পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে, ‘ইসলামাবাদে ইরানি দূতাবাসে আমরা যদি সৌদি আরব বিরোধী কোনও ব্যানার টাঙাই তাহলে কেমন হবে? পাকিস্তান কি তা মেনে নেবে? পাকিস্তান যেমন প্রতিবেশী দেশ তেমন ভারতও ইরানের কোনও শত্রু নয়।’ এদিকে, ইসামাবাদেও বেশ কয়েকটি ভারত বিরোধী বিক্ষোভের আয়োজন করে পাকিস্তান। বিষয়টি ইরানকে জানায় ভারত। কাশ্মীরের সমর্থনে একটি দাবিপত্রও ইরানের রাষ্ট্রদূতের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত শুক্রবার এক সভায় কাশ্মীরের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে সেখানে দমন-পীড়ন চালানোর জন্য ভারতের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, কাশ্মীরিদের ওপর চালানো নির্যাতন বিশ্ব সম্প্রদায় চুপচাপ দেখে যাচ্ছে। এর পরিণতি ভালো হবে না। নির্যাতিত এসব মানুষ এক সময় ঘুরে দাঁড়াবেই।

গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এর প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করাসহ ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কাশ্মির সীমান্তে চলছে টানটান উত্তেজনা।

একইসঙ্গে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত ও ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করেছে পাকিস্তান। কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ইতোমধ্যে ইস্যুটি নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারতের ভূমিকার সমালোচনা শুরু করেছে পাকিস্তান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। তবে ভারতের দাবি, বিষয়টি অভ্যন্তরীণ। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করা উচিত। তবে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরেও স্বাধীনতাকামীদের দমন করছে পাকিস্তান। চলতি বছরেই জেকেএলএফের ১৯ সদস্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে।

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন