

আজ একশো দিন পূর্ণ করেছে মোদি সরকার টু। সকাল থেকেই বিজেপির অফিসিয়াল টুইটারে গত একশো দিনের কাজ তুলে ধরা হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করে তাদের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়ে ওই রাজ্যকে ভাগ করে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তৈরি করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে, তিন তালাক বিরোধী আইন। অর্থাৎ মুসলিমদের ধর্মীয় বিষয় ও তাদের জীবন হুমকির মুখে ফেলে যে সব কার্যক্রম করা হয়েছে সেগুলোর প্রশংসা করা হচ্ছে।
এই ইস্যুতে অন্য খতিয়ান তুলে ধরেছেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী মোদির সমালোচনা ও কটাক্ষ করে এক টুইটে লিখেছেন, ‘একশো দিন, কোনও উন্নয়ন নেই।’
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী জানান, এই একশো দিনে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। কৃষকদের শ্বাসরোধ করা হচ্ছে। বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে তুলে ধরতে যে উদ্যোগে প্রয়োজন, তার কোনও পরিকল্পনা নেই। মিডিয়াকেও একহাত নেন রাহুল গান্ধী।
হরিয়ানা দলের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, নির্বাচনে হেরে গিয়ে এখন নিশ্চুপ বিরোধীরা। উলটে কংগ্রেসকে নিয়ে কটাক্ষ করেন নরেন্দ্র মোদি।
সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই ৩০০ বেশি আসন জেতে। মোদি সরকার প্রথম ইনিংসে নোটবন্দি, জিএসটির মতো বড় সিদ্ধান্ত নিলেও, তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দেশের অর্থনীতিতে। এমনটা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরায়। চলতি অর্থবর্ষে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি হার দাঁড়ায় ৫ শতাংশে। ব্যাঙ্ক ব্যবস্থায় ব্যাপক মন্দ সৃষ্টি হয়েছে। নগদ ঘাটতি দেখা গিয়েছে বাজারে। ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক নয় আর্থিক সংস্থাগুলিকে চাঙ্গা করতে একাধিক পদক্ষেপ করে মোদি সরকার।
এর আগে, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও মোদির সমালোচনা করে বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি ছেড়ে দেশের অর্থনীতিতে মন দিন।
ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস