

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবিকতার চমৎকার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। রোহিঙ্গাদের যথাযথ সম্মান এবং পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে নিজ জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়াই এই সংকটের একমাত্র সমাধান। এই সংকট সমাধানে বিশ্বকে দৃশ্যমান কাজ করতে হবে। মিয়ানমারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে হবে যাতে তারা রোহিঙ্গাদের অধিকার দিতে বাধ্য হয়।’ বুধবার শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপের সময় এ মন্তব্য করেন জারিফ।
বিশ্বের শান্তি ও যুদ্ধ প্রসঙ্গে জাওয়াদ জারিফ বলেন, ‘গত বছর সৌদি আরব অস্ত্র কেনা বাবদ ৮৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। সৌদি আরব এই সকল অস্ত্র পশ্চিমা বিশ্ব থেকে কিনেছে নিরাপত্তার অজুহাতে তাদের প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য। সংযুক্ত আরব আমিরাত গত বছর ২২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে অস্ত্র কেনার জন্য। এক সময় সৌদি আরব ইরাকের পেছনে ৭৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে ইরানকে শায়েস্তা করতে। কিন্তু অর্থ খরচ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না।
অস্ত্র দিয়ে কখনো শান্তি নিশ্চিত করা যায় না। একমাত্র বন্ধুত্ব, সংলাপ এবং সহযোগিতার মাধ্যমেই শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বলেছি, আমরা শান্তির জন্য আগামীকালই সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছি। কেন না অস্ত্র দিয়ে আঞ্চলিক বা কোনো একক দেশের নিরাপত্তা আর শান্তি নিশ্চিত করা যায় না। আর প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে অস্ত্র বৈষম্য (আর্মস ইমব্যালান্স) থাকলে শান্তি আসে না। সেনা (মিলিটারি) দিয়ে কখনও বিজয়ী হওয়া যায় না।
বিজয়ী হতে হলে রাজনৈতিকভাবে এগুতে হয় এবং সংলাপ ও বন্ধুত্বেই তা সম্ভব। শান্তির জন্য অস্ত্রের পেছনে অর্থ খরচ কমিয়ে সংলাপের পথে বিনিয়োগ করতে হবে।’ ভারত মহাসাগর অঞ্চলকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় ২১ রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইওআরএ (ভারতীয় মহাসগার রিম অ্যাসোশিয়েশন)-এর মন্ত্রী পর্যায়ের তৃতীয় সম্মেলন বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে। এই সম্মেলনে অংশ নিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ বাংলাদেশ সফর করছেন।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস