

আজ সোমবার কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনায় বসবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি জানান, এই আলোচনা বন্ধ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে ভারত।
শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেন, ভারত দখলীকৃত কাশ্মীরে যে মাত্রায়ই দমনপীড়ন চালানো হোক না কেন, কাশ্মীরিদের কণ্ঠকে দমিয়ে রাখা যাবে না, যারা গত কয়েকটি সপ্তাহ কারফিউয়ের মধ্যে রয়েছেন।
পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদি ও জয় শঙ্করের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা চলে গেছে। তা হল, তারা কাশ্মীরি জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে পারেন না। ভারত সরকার কাশ্মীরি মুসলিমদেরকে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রেও বাধা দিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানে সব অমুসলিম তাদের উপাসনালয়ে অবাধে উপাসনা করতে পারছেন। তার ভাষায়, ভারত সরকার মসজিদগুলোকে ফাঁকা করে ফেলেছে। কিন্তু পাকিস্তানে মন্দিরগুলোর প্রতি সম্মান দেখানো হচ্ছে।
এর আগে গত শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধিকৃত কাশ্মীরে চলমান সঙ্কট ও সমস্যা সমাধানে জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে গণভোটের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি। কাশ্মীরকে আন্তর্জাতিকভাবে দেওয়া মর্যাদা রক্ষার কথাও জোরালো ভাবে উল্লেখ করে সংস্থাটি।
একই দিন মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রবীণ সিনেটর এবং আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যিাট দলে থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি বলেছেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদি সরকারের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন। স্যান্ডার্স উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, কাশ্মীর নিয়ে ভারত যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক আইন বাস্তবায়নের ব্যাপারে ভারতের উপরে অবশ্যই মার্কিন সরকারকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। জানা গেছে, কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর।
ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস