কাশ্মীর নিয়ে চিন্তার সময় নেই মুসলিম দেশগুলোর: পাকিস্তান

প্রকাশিত: ৮:৩৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০১৯
কাশ্মীর

সৌদি আরবের আরামকো এবং ভারতের রিলায়েন্স কোম্পানির মধ্যে দেড় হাজার কোটি ডলারের তেলচুক্তি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় খেতাব অর্জন এবং প্রথমবারের মতো গত সপ্তাহে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বাহারাইন সফরের কথা উদাহরণ হিসেবে টেনে পাকিস্তানের সাবেক সিনেট চেয়ারম্যান মিয়া রাজা রব্বানিপাকিস্তানের সাবেক সিনেট চেয়ারম্যান মিয়া রাজা রব্বানী বলেন, মুসলিম দেশগুলো তাদের নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থ নিয়ে এত বেশি ব্যস্ত যে, কাশ্মীরের ভাইদের ব্যাপারে তাদের চিন্তা করার সময় নেই। খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।

রাজা রব্বানি বলেন, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি থেকে পাকিস্তানের বেরিয়ে আসার এটাই সবচেয়ে সেরা সময়। তিনি ওআইসিকে জাতিসংঘের চেয়েও নিকৃষ্ট সংস্থা বলে মন্তব্য করেন। শুক্রবার কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান সিনেটে আলোচনায় অংশ নিয়ে রাজা রব্বানি বলেন, ইসলামি উম্মার ব্যাপারে ওয়াইসির যে ফাঁকা বুদবুদ ছিল তা ফেটে গেছে।

এই সম্পর্ক রক্ষা করার ব্যাপারে পাকিস্তানের এখন পুনর্বিবেচনা করা উচিত। পাকিস্তানের প্রবীণ এই রাজনীতিক বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে ওআইসির ব্যর্থতার উদাহরণ টেনে বলেন, ‘১৯৯০’র দশকে বসনিয়ায় গণহত্যা এবং ফিলিস্তিনে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে ওআইসি। বিশ্ব আসলে এখন অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং মুনাফা অর্জনের দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের উচিত আন্তর্জাতিক সমস্ত মানবাধিকার সংস্থাকে কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং সেখানে জারি করা কারফিউ সম্পর্কে অবহিত করা। পাশাপাশি সমস্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি ও কনভেনশনের তালিকা তৈরি করে ভারত কিভাবে কাশ্মীরে তা লঙ্ঘন করে চলেছে সে সম্পর্কে বিশ্বকে জানানো উচিত বলে মন্তব্য করেন রাজা রব্বানি।

এর আগে সোমবার (৫ আগস্ট) ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর থেকে কাশ্মীরজুড়ে এখনও ভয়ংকর পরিস্থিতি ও এক ধরনের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে৷ এখন চলছে কারফিউ। দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সেনাদের নির্যাতনে উপত্যকার জনগণের জনজীবন হুমকির মুখে। গত দু’একদিন আগে সেনাদের নির্যাতনের ভয়াবহ খবর উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে। অকথ্য নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন এক ব্যক্তি। ছবিতে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তির পিঠে রক্তের ছপ ছপ দাগ বানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনারা। এসব কিছুর পরও ভারত দাবি করে আসছে কাশ্মীর শান্ত আছে এবং তাদের সেনারা দমন-পীড়ন চালাচ্ছে না।

আইএ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন