আচমকা ইস্তফা দিলেন মোদির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি

প্রকাশিত: ৭:০৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০১৯

আচমকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নৃপেন্দ্র মিশ্রের পদত্যাগগের খবর পাওয়া গেল। মোদি ২০১৪ সালে যখন প্রথম বার জিতে আসেন, এই পদটির জন্য বিস্তর খোঁজ চলেছিল। উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের এই আইএএস-কে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি করার পরামর্শ নাকি দেন খোদ অমিত শাহই। তখনও মোদি তাকে ভাল চিনতেন না। তবু তাকে পদে বসান। তার জন্য নিয়মেরও বদল করেন। কারণ, নৃপেন্দ্র মিশ্র ছিলেন টেলিকম নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (ট্রাই)-এর চেয়ারম্যান। ট্রাই-এর নিয়ম অনুসারে অবসরের পর সরকারি পদ নেওয়া যায় না। বিরোধীরা এ নিয়ে শোরগোল তুললেও মোদি অনড় থাকেন নিজের অবস্থানে। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

প্রধানমন্ত্রী সচিবালয় সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, বিদায়ী ক্যাবিনেট সেক্রেটারি পি কে সিন্হাকে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী দফতরের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি নিয়োগ করা হয়েছে। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গউবা এখন নতুন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্পষ্ট হবে, এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পি কে মিশ্রর পদোন্নতি হবে, নাকি পি কে সিন্হাকে বসানো হবে নৃপেন্দ্রর জায়গায়?

এ প্রসঙ্গে এক টুইটে মোদি বলেছেন, ২০১৯ সালের ভোটের ফল প্রকাশের পরেই ‘সেবামুক্ত’ হওয়ার অনুরোধ করেছিলেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না-হওয়া পর্যন্ত তাকে ওই পদে থাকার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশ্ন উঠেছে, অবসরই যদি চেয়ে থাকেন, তবে লোকসভা ভোটের পরেই কেন ক্যাবিনেট মর্যাদা দিয়ে নৃপেন্দ্র মেয়াদ পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল? মোদী সে বিতর্কে না গিয়ে স্মরণ করেছেন, ‘‘২০১৪ সালে দিল্লি ও নৃপেন্দ্র মিশ্র— উভয়ই আমার কাছে নতুন ছিল। কিন্তু তিনি জানতেন দিল্লির শাসন-ব্যবস্থা। পাঁচ বছরে তিনি শুধু আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে সাহায্য করেননি, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতেও আমার সঙ্গী হিসেবে কাজ করে গিয়েছেন।’

এ বিষয়ে নৃপেন্দ্র বিবৃতি দিয়ে জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর অধীনে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ। পাঁচ বছর ধরে নিয়ত কাজ করেছি। এখন এগোনোর সময়। জাতীয় স্বার্থে মানুষের জন্যই কাজ করব। প্রধানমন্ত্রী দেশকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবেন।’

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

 

মন্তব্য করুন