

ভারতে প্রতি দু’জনের মধ্যে একজন পুলিশ মনে করেন, সাধারণভাবেই মুসলিমরা অপরাধপ্রবণ। বিষয়টি মুসলিম বিদ্বেষের কঠোর নমুনা। চাঞ্চল্যকর এই সমীক্ষা প্রকাশ করল কমন কস এবং লোকনীতি-সেন্টার ফর দ্য স্টাডি ডেভেলপিং সোসাইটিস নামে অলাভজনক সংস্থা।
ওই সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, ১৪ শতাংশ পুলিশ মনে করেন, মুসলিমরা সাধারণত অপরাধপ্রবণ। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের পুলিশ। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওই রাজ্যের ৭৯ শতাংশ পুলিশকর্মী এমনই ভাবনা পোষণ করেন। অন্য দিকে, ৩৬ শতাংশ পুলিশ মনে করেন, মুসলিমদের কেউ কেউ অপরাধ করে থাকেন। আর ভারতীয় পুলিশের এমন মনোভাবের কারণেই হয়ত অকারণে তাদের নির্যাতনের স্বীকার হন বহু মুসলিম।
গরুর গশত খেতে এবং গরু জবাই করতে ইসলাম ধর্মমতে কোনো সমস্যা নেই। গত কয়েকদিন আগে ভারতে একাধিক মুসলিম গণহত্যার কাহিনী ঘটেছে। তাদের অনেককে অকারণে আবার কাউকে মিথ্যে অভিযোগে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এগুলোর কোনো বিচার না হওয়ার বড় কারণ হল, সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৩৫ শতাংশ পুলিশকর্মী মনে করেন, গরু হত্যাকারীদের গণপিটুনির শিকার হওয়া স্বাভাবিক বিষয়।
সমীক্ষায় আরও প্রকাশ করা হয়, এমনকি শিশু অপহরণ, ধর্ষণ এবং গাড়ি দুর্ঘটনায় চালকের গাফিলতি স্বাভাবিক বিষয় বলে প্রায় ৪০ শতাংশ পুলিশকর্মী জানিয়েছেন। প্রতি তিন জন পুলিশকর্মীর এক জন মনে করেন, অপরাধীদের উপর অত্যাচার চালানোর প্রয়োজন, তেমনই প্রতি পাঁচ জনের চার জন পুলিশকর্মী জানাচ্ছেন, অভিযুক্তদের বেধড়ক মার দিয়েই অপরাধ কবুল করানো দরকার। কাজের নিরিখে মহিলা পুলিশকর্মী লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হন বলে মেনে নিচ্ছেন বেশিরভাগ পুলিশকর্মীই।
জানা যাচ্ছে, ওই সমীক্ষা চালানো হয়েছে দেশজুড়ে ১১,৮৩৪ পুলিশকর্মীর মতামতের ভিত্তিতে। চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ২১টি রাজ্যে ওই সমীক্ষা চালানো হয়।
ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস