জুতা পেতে ২০২২ সালের অপেক্ষায় জার্মান সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ১২:২৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০১৯

২০১৬ থেকে জার্মান সেনাবাহিনী ‘বুন্ডেসভেয়ার’কে নতুন সামরিক জুতা এনে দেওয়ার কথা। কিন্তু ব্যবস্থাপনা ও যথেষ্ট উৎপাদন না থাকায়, ২০২২ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তাদের। বিশ্বের যে কোনো উন্নত সামরিক বাহিনীর ন্যূনতম প্রয়োজনগুলির একটি সামরিক পোশাক, যার মধ্যে যুদ্ধে ব্যবহৃত জুতাও রয়েছে। ন্যাটোর সদস্য জার্মানির সেনাবাহিনী ‘বুন্ডেসভেয়ার’ ইউরোপের অন্যতম আধুনিক সেনাবাহিনী। খবর ডয়চে ভেলে’র।

‘বুন্ডেসভেয়ার’ সদস্যদের যুদ্ধের উপযোগী জুতা পেতে করতে হবে অন্তত ছয় বছর অপেক্ষা। ফলে, বিপক্ষ সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধেক্ষেত্রে লড়তে কতটা তৈরি তারা, সেবিষয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ২০১৬ থেকেই আলোচনায় উঠে আসছে দুই ধরনের নতুন জুতার প্রয়োজনীয়তা। ‘অল সিজন’ বা দৈনন্দিন ব্যবহারের জুতার পরিবর্তে একটি ‘হেভি কমব্যাট’ বা ভারী লড়াইয়ের জুতা। আরেকটি ‘লাইট কমব্যাট’ বা হালকা লড়াইয়ের বুট।

২০২০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবার কথা ছিল এই দুই ধরনের বুট সেনাসদস্যদের জন্য প্রস্তুত করা। কিন্তু জার্মান দৈনিক ডেয়ার স্পিগেল জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ২০২২ সালের আগে এই কাজ শেষ হবে না। কারণ হিসাবে তারা বলেছে যথেষ্ট পরিমাণে যুদ্ধের বুট উৎপাদনের ব্যর্থতার কথা৷ উঠছে কাগজপত্রের জটিলতার কথাও। এক লাখ ৮৩ হাজার সেনাসদস্যের মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য এখন পর্যন্ত শুধু হেভি কমব্যাট বুটই পেয়েছেন। বাকিরা তা পাননি৷ লাইট কমব্যাট বুট পেয়েছেন মাত্র ৩১ হাজার জন।

এই নিয়ে আবার আলোচনায় জার্মান সেনাসদস্যদের জীবনযাত্রার মান। কমিশনার ফর আর্মড ফোর্সেসের পক্ষে হানস পেটার বারটেলস বলছেন, ‘যতদিনে সব সদস্যের কাছে পৌঁছবে দুই জোড়া জুতা, ততদিনে এখনকার জুতাগুলি পুরোনো হয়ে যাবে। ফলে, কিছু সেনাসদস্যদের নিজেদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বলে মনে হতে পারে৷’

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন