

হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে হিন্দির আধিপত্য অস্বীকার করে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় প্রতিবাদ। কোথাও মোছা হচ্ছে হিন্দি ভাষায় লেখা বোর্ড৷ ‘হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রভাষা’, এমন একটা মিথ্যে দেশের মানুষের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে।ভারতের কোনো রাষ্ট্রভাষা আদৌ নেই, এই কথাটাই তুলে ধরতে চাইছে ‘বাংলা পক্ষ’ সংগঠনটি৷ খবর ডয়চে ভেলে’র।
খবরে জানানো হয়, শুধু প্রচার নয়, হিন্দি ভাষার বিরুদ্ধে তারা বেশ ক্ষুরধার আন্দোলনও গড়ে তুলছে। তবে সব কাজকর্ম সরাসরি এই সংগঠন করছে না। সম্প্রতি নানা ভাবে প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে, যা বাংলা ভাষার মর্যাদার পক্ষে সোচ্চার দাবি তুলে ধরছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
কলকাতার কাছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যমগ্রাম স্টেশনের ভিডিওটি তোলা হয়। এই স্টেশনের ওভারব্রিজে হিন্দিতে ‘মধ্যমগ্রাম’ লেখা রেল কর্তৃপক্ষের একটি বোর্ড রয়েছে। সেই বোর্ডে কালি লেপে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি কালি লেপে দিচ্ছেন হিন্দি বোর্ডে। প্রতিবাদীদের বক্তব্য, যে রাজ্যে ৮৬ শতাংশ মানুষ বাংলাভাষী, সেখানে কেন শুধু হিন্দিতে লেখা বোর্ড লাগাবে রেল। বাংলা ভাষার পক্ষে লড়াই চালানো সংগঠনটি এর আগে পশ্চিমবঙ্গের সীমানায় থাকা রেল স্টেশনে শুধু হিন্দি ও ইংরেজিতে বোর্ড লাগানোর প্রতিবাদ করেছে৷
তারা বলছে, কেন বোর্ডে বাংলায় স্থানের নাম বা অন্য কোনো বিজ্ঞপ্তি লেখা থাকবে না। কেন বাংলাভাষীদের অন্য দুটি ভাষায় বোর্ড পড়তে হবে। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া আসানসোল ডিভিশনে রেলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। যুক্তি মেনে নিয়ে দ্রুত বোর্ড পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
সাম্প্রতিককালে, পশ্চিমবঙ্গের ট্রেনে-বাসে নজরকাড়া পোস্টার চোখে পড়ছে। একাধিক পোস্টারের বক্তব্য, হিন্দি রাষ্ট্রভাষা নয়৷ বাংলায় থাকলে বাংলা জানতে হবে। এই ধরনের মন্তব্য কিছু দিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে শোনা গিয়েছিল। তার মুখ থেকে শোনা গিয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও৷
আই.এ/পাবলিক ভয়েস