
‘কাশ্মীর আওয়ার’ পালনের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার দুপুরে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার পাকিস্তান এবং কাশ্মীরের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আসন্ন প্রতিরক্ষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, কাশ্মীর আওয়ার পালনকালে সাইরেনও বাজানো হবে। ওই সম্মেলনে বেসামরিক এবং সেনাবাহিনীর শীর্ষ ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
আগামী শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কাশ্মীর আওয়ার পালনের মধ্য দিয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের লোকজনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করবে পুরো পাকিস্তানের জনগণ।কাশ্মীরকে ভারতের কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে নিয়ে আসার ঘোষণার পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণে কাশ্মীর আওয়ার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তিনি জানিয়েছেন, প্রতি শুক্রবার কাশ্মীর আওয়ার পালনের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, তারা (ভারত) তাদের ট্রাম্প কার্ড খেলে ফেলেছে। এখন তাদের হাতে খেলার জন্য আর কোনো কার্ড নেই। এখন যা করা দরকার তা আমরা আর বিশ্ব করবে। এই কর্মসূচিতে তরুণদের বিশেষ করে ছাত্রদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন আসিফ গফুর। তিনি বলেন, জাতীয় বীর, বিনোদন শিল্পের লোকজন, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও কাশ্মীরিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে ওই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। তিনি বলেন, ওই কর্মসূচিতে ‘কাশ্মীর বান গায়া পাকিস্তান’ (কাশ্মীর পাকিস্তানের একটি অংশে পরিণত হবে) স্লোগান দেয়া হবে।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর অধিকৃত কাশ্মীরে ২৫ দিনের কারফিউ অব্যাহত রয়েছে। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট পরিষেবা এবং টিভি সম্প্রচার স্থগিত রয়েছে। মিডিয়াগুলোর ওপর কঠোর বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। পেশা প্রশাসন টেলিফোন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থগিতকরণ, অবিরাম কারফিউ এবং মারাত্মক বিধিনিষেধের ফলে দুধ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং শিশুদের জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। দোকানপাঠ বন্ধ রয়েছে। খাবারের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় তাদের জীবনে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকের জীবনই এখন হুমকির মুখে।
এদিকে বুধবার যুদ্ধের পূর্ণ ইঙ্গিত দেন পাক রেল মন্ত্রী শেখ রশিদ। রাওয়ালপিন্ডিতে এক অনুষ্ঠানে শেখ রসিদ বলেন, ‘কাশ্মীরের পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অক্টোবর-নভেম্বরেই যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে।’ রশিদ আহমেদ কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত এলে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। তার সতর্কবার্তা এই যুদ্ধ শুধুমাত্র দুটো দেশের মধ্যে হবে না।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস

