

পাবলিক ভয়েস : চির বিদায় নিয়ে চলে গেলেন সৈয়দ আশরাফ। গত ৩ জানুয়ারি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এবং গত শনিবার (০৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে (বিজি-০৮৯) করে ঢাকায় আনা হয় । পরে তাকে গত শনিবার(৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। এবং সেখান থেকে তাকে বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে নিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমাগারে রাখা হয়। রোববার (৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।
এরপর হেলিকপ্টারে করে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার জেলা কিশোরগঞ্জে। সেখানে দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তৃতীয় নামাজে জানাজা দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁ মাঠে সম্পন্ন হয়। এবং সেখান থেকে মরদেহ ঢাকায় নিয়ে এসে বাদ আসর বনানী কবরস্থানে দাফন হয়।
আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ক্যান্সারের আক্রান্ত হয়ে গত ৩ জানুয়ারি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ আশরাফ। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন পরিছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে যিনি সবার কাছে, সব রাজনৈতিক দলের কাছে সমাদৃত। কথা ছিলো সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আবারো সংসদ-সদস্য হিসেবে শপথ নিবেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ফুসফুসের ক্যান্সারে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৮ বছরে মারা যান তিনি।
জাতীয় চার নেতার একজন সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে ৫ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ ছিলেন নির্মোহ, মৃদুভাষী, সুদক্ষ এবং পরিচ্ছন্ন একজন রাজনীতিবিদ। রাজনীতির মাঠে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি হলেও নিজেকে রেখেছিলেন পর্দার অন্তরালে।