শুরু হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ?

প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০১৯

যুদ্ধের পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে পাকিস্তান! বুধবার তারই ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন পাক রেল মন্ত্রী শেখ রশিদ। রাওয়ালপিন্ডিতে এক অনুষ্ঠানে শেখ রসিদ বলেন, ‘কাশ্মীরের পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অক্টোবর-নভেম্বরেই যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে।’ রশিদ আহমেদ কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত এলে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। তার সতর্কবার্তা এই যুদ্ধ শুধুমাত্র দুটো দেশের মধ্যে হবে না।

দক্ষিণ-এশিয়ায় এর প্রভাব পড়বে। এমনকি ভূ-মানচিত্র পালটে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন পাক রেলমন্ত্রী। ভারতকে কোণঠাসা করতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অনেক বহু উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান। ১৯৭১ সালের পর প্রথম রাষ্ট্রসঙ্ঘে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করাতে সমর্থ হয় পাকিস্তান।

পাক রেল মন্ত্রী রশিদ আহমেদ

সীমান্তে ১০০ জনেরও বেশি কমাণ্ডো মোতায়েন করেছেপাকিস্তান। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের পরেই সতর্ক হয়ে গিয়েছে ভারত৷ এতে ‘খাওয়া ঘুম’ বাদ দিয়ে সীমান্তে কড়া নজরদারি শুরু করেছে তারা।

কাশ্মীরের ৩৭০ বাতিল করে বিশেষ মর‌্যাদা প্রত্যাহারের পরই ভারতের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে পাকিস্তান। এ বার ভারতের জন্যই পাকপাকিভাবে আকাশপথ বন্ধ করার ভাবনা চিন্তা করছে ইমরানের সরকার।

ইমরান খান জানেন, ক্ষমতায় আসার পর একাধিক বার ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। বলেছিলাম, শান্তি স্থাপনে ভারত এক পা এগোলে, চার পা এগোব আমরা। তিনি বলেন,যতক্ষণ পর্যন্ত কাশ্মীর স্বাধীন না হবে, প্রতিটি ফোরামে আমি এই বিষয়ে সর্বোচ্চ আওয়াজ তুলব।

নিজেকে ‘কাশ্মীরি দূত’ বলে উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, কাশ্মীর স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমার চেষ্টা চলবে। কাশ্মীরি জনগণকেও আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, কাশ্মীর ইস্যুটি নিয়ে আমি সারা বিশ্বে কাজ করব। এদিন ফের একবার পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, ‘যদি কাশ্মীর দ্বন্দ্ব যুদ্ধে দিকে যায়, তাহলে মনে রাখতে হবে দুই দেশের কাছেই পরমাণু অস্ত্র আছে। আর পরমাণু যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না।’

ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইমরান খান বলেন, আমরা কাশ্মীরের এক ইঞ্চিও ছাড়তে রাজি নয়। আমরা কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ব। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে, এই অঞ্চলটিতে যদি কোনো সময় পারমাণবিক যুদ্ধ লেগে যায়, তাহলে কেউই জয়লাভ করবে না। এই যুদ্ধের ফলে ভোগ করবে সারা বিশ্ব। তাই এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর নির্ভর করবে।

সোমবার (৫ আগস্ট) ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর থেকে কাশ্মীরজুড়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি ও এক ধরনের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে৷ এরই মধ্যে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিলের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েক জন নিহতের ঘটনা সামনে এসেছে। অবশ্য পাকিস্তানি পত্রিকা ডন নিউজের কলামিস্ট রাজিয়া সায়েদা চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত অধিকৃত কাশ্মীরে ২ হাজারেরও বেশি নিপীড়িত কাশ্মীরি নিহত হয়েছে বলে তার কলামে উল্লেখ করেছেন।

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন