শর্ত সাপেক্ষে মুক্তিতে রাজি নয় মেহবুবা মুফতি-ওমর আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত: ১:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০১৯
মেহবুবা মুফতি ও ওমর আব্দুল্লাহ

জম্মু-কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাহ কেউই রাজি হলেন না শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পেতে। তাই তিন সপ্তাহ পরেও তাদের বন্দিদশা কাটল না। উল্টে কট্টরপন্থি হিন্দু সরকার আরও বাড়ল তাদের বন্দিদশার মেয়াদ। অগস্ট মাসের প্রথমেই ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ বাতিলের ঘোষণা সামনে রেখে গত ৫ আগস্ট ওমর ও মেহবুবাকে গ্রেফতার করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর থেকে তারা বন্দি রয়েছেন।

কাশ্মীরের সাবেক মূখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আব্দুল্লাহর মুক্তির শর্তে সেখানে স্থিতিশীলতা ফেরাতে তাদের সহযোগীতা চেয়েছিল ভারত। এ লক্ষ্যে গত শনিবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বারষ্ট্রমন্ত্রণালয় তাদের যোগাযোগ করে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সহায়তা করলে তাদের মুক্তি দিবে বলে শর্ত করা হয় বলে জানায় ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’।

স্বাভাবিক ভাবেই এমন শর্ত মানতে রাজি হননি মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আব্দুল্লাহ। যদিও সত্যপাল মালিক দাবি করেছেন, তেমন কোনও প্রস্তাব নিয়ে তিনি মেহবুবা এবং ওমরের সঙ্গে দেখা করেননি৷ কারণ হিসেবে তার ব্যাখ্যা , কাউকে আটক করা বা ছাড়া তা রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নেয় না। এদিকে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে, ওমর আবদুল্লাহর দল ন্যাশনাল কনফারেন্স এমন খবর উড়িয়ে দিয়ে বলে, এই খবরের কোনো ভিত্তি নেই। এ ব্যাপারে কাশ্মিরের পিপল ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) সূত্র জানায়, কারাগারে এই দুই নেতার সঙ্গে কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা দেখা করেছেন। যদি তারা ছাড়া পান, তবে জম্মু ও কাশ্মীরে স্বাভাবিকতা ফেরাতে তাদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

এদিকে পিডিপি’র এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বাতিলের মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা থেকে তারা একটুও সরে আসবেন না। গত ১১ আগস্ট কাশ্মীরের সামরিক অস্থিরতার ভেতর গৃহবন্দি করা হয় কাশ্মীরের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৩ নেতা ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতি এবং সাজ্জাদ লোনকে। রাতেই শ্রীনগর ও জম্মুতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় বন্ধ করা হয় স্কুল-কলেজ। শ্রীনগরে কার্যত অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি হয়েছে কারফিউ। বন্ধ মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবাও। এবং এখনও উপত্যকা বিরাজ করছে থমথমে পরিবেশ।

ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন