কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি ইমরানের

প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০১৯
ইমরান খান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ক্ষমতায় আসার পর একাধিক বার ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। বলেছিলাম, শান্তি স্থাপনে ভারত এক পা এগোলে, চার পা এগোব আমরা। কিন্তু আলোচনায় বসতেই রাজি হয়নি ভারত। সবকিছুর জন্য শুধু পাকিস্তানকে দায়ী করে গিয়েছে। সন্ত্রাসে মদত জোগানোর অভিযোগ তুলেছে। আজ সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন ইমরান খান।

সোমবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাশ্মীর প্রসঙ্গেও উঠে আসে সেখানে। এরপর কিছুক্ষণ পরই পাকিস্তানে জাতির উদ্দেশ্যে এ ভাষণ দেন ইমরান খান। আরও একবার ভারতকে কার্যত যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। কাশ্মীর স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে এদিন বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কাশ্মীর স্বাধীন না হবে, প্রতিটি ফোরামে আমি এই বিষয়ে সর্বোচ্চ আওয়াজ তুলব। নিজেকে ‘কাশ্মীরি দূত’ বলে উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, কাশ্মীর স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমার চেষ্টা চলবে। কাশ্মীরি জনগণকেও আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, কাশ্মীর ইস্যুটি নিয়ে আমি সারা বিশ্বে কাজ করব। এদিন ফের একবার পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, ‘যদি কাশ্মীর দ্বন্দ্ব যুদ্ধে দিকে যায়, তাহলে মনে রাখতে হবে দুই দেশের কাছেই পরমাণু অস্ত্র আছে। আর পরমাণু যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না।’

ভাষণে ইমরান খান বলেন, ভারতে উগ্র হিন্দুপন্থী নামে পরিচিত সংগঠন আরএসএস এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভুলের কারণে কাশ্মীরিরা স্বাধীনতার সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, কাশ্মীর সমস্যা এখন আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সমস্যা নয়। এটি এখন আন্তর্জাতিক সমস্যা।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়তে পেরেছি; এটাই বড় সাফল্য। আমরা এটা নিয়ে জাতিসংঘে যেতে পেরেছি; এটাই আমাদের সফলতা।

ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কাশ্মীরের এক ইঞ্চিও ছাড়তে রাজি নয়। আমরা কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ব। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে, এই অঞ্চলটিতে যদি কোনো সময় পারমাণবিক যুদ্ধ লেগে যায়, তাহলে কেউই জয়লাভ করবে না। এই যুদ্ধের ফলে ভোগ করবে সারা বিশ্ব। তাই এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর নির্ভর করবে।

ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন