
কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলছেন, ভারতে মুসলিমদের ওপর অত্যাচার চলছে। অথচ এমন পরিস্থিতিতেই মোদির হাতে আরব আমিরাত সম্মাননা তুলে দিয়েছে। এটা একেবারেই মেনে নিতে পারছে না ইসলামাবাদ। পাক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও সম্প্রচার-সংক্রান্ত বিশেষ উপদেষ্টা ড. ফিরদৌস আশিক আওয়ান বলেন, আন্তর্জাতিক মহলে কাশ্মীর ইস্যুকে বিশেষভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে পাকিস্তান।
খুবই দুঃখজনক মুসলিম দেশগুলো স্বার্থপর। আর এ কারণে এ ইস্যুটি এড়িয়ে যাচ্ছে দেশগুলো। কাশ্মীরিদের ওপর অত্যাচারের বিষয়টিকে পুরো বিশ্ব গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন এই পাক প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদির হাতে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘অর্ডার অব জায়েদ’ তুলে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখায় শনিবার মোদিকে এ বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। বর্তমানে বিদেশ সফরে রয়েছেন মোদি।
এ সফরেই তাকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। তার সফরের আগেই এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছিল আমিরাত। এদিকে আরব আমিরাত সফর বাতিল করেছেন পাক সিনেটের সভাপতি সাদিক সাঞ্জারানি। আমিরাত সরকারের আমন্ত্রণে রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিনদিনের সফরের কথা ছিল সাদিক সাঞ্জারানিসহ পাক প্রতিনিধি দলের। সেখানে গিয়ে একাধিক সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে সমর্থন করায় আমিরাতে এই সফর বাতিল করা হয়েছে।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর অধিকৃত কাশ্মীরে ২৩ দিনের কারফিউ অব্যাহত রয়েছে, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট পরিষেবা এবং টিভি সম্প্রচার স্থগিত রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাটি পুরোদমে চলছে এবং মিডিয়াটির কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে এবং পেশা প্রশাসন টেলিফোন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থগিতকরণ, অবিরাম কারফিউ এবং মারাত্মক বিধিনিষেধের ফলে দুধ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং শিশুদের জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মুসলিমদের ঈদ উজ্জাপন এবং পবিত্র হজ থেকে তারা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস

