
ইসমাঈল আযহার: ৩৭০ ধারা বাতিলের পর অধিকৃত কাশ্মীরে ২১ দিনের কারফিউ অব্যাহত রয়েছে, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট পরিষেবা এবং টিভি সম্প্রচার স্থগিত রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাটি পুরোদমে চলছে এবং মিডিয়াটির কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে এবং পেশা প্রশাসন টেলিফোন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস অনুসারে, যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থগিতকরণ, অবিরাম কারফিউ এবং মারাত্মক বিধিনিষেধের ফলে দুধ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং শিশুদের জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মুসলিমদের ঈদ উজ্জাপন এবং পবিত্র হজ থেকে তারা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
৩৭০ ধারা বাতিল করার পর থেকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বিভিন্ন বিধিনিষেধ কার্যকর করার পাশাপাশি সেখানকার রাজনৈতিক নেতাদের আটক, গ্রেফতার অথবা গৃহবন্দি করা হয়েছে। গোলযোগের আশঙ্কায় রাজ্যের সমস্ত স্পর্শকাতর এলাকায় প্রচুর পরিমাণে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। গণমাধ্যমে প্রকাশ সেখানে কমপক্ষে ৪ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আইনজীবী, অধ্যাপক, জম্মু-কাশ্মীর বার এসোসিয়েশন ও সিভিল সোসাইটির সদস্যরা রয়েছেন। রাজ্যটিতে গত ৫ অগস্ট থেকে যোগাযোগ মাধ্যমকে বন্ধ করে দেয়া হলে মানুষজন ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন। সরকারপক্ষ থেকে অবশ্য সেখানকার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিলের কথা বলা হচ্ছে।
নোবেল বিজয়ী ড. অমর্ত্য সেন দুই দিন আগে বলেছিলেন যে গণতন্ত্র ছাড়া কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও সমাধান হতে পারে না। আমি কাশ্মীরি নেতৃত্বের গ্রেফতারের ও আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে কাশ্মীর নিয়ে চলমান সংকট নিরসনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পর এবার আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। গত ২০ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান সরকার।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, আমরা কাশ্মীরের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন নিউজ থেকে ইসমাঈল আযহারের অনুবাদ

