‘কাশ্মীরে মোদির দুর্বৃত্তের আচরণ’; অবরুদ্ধ ও অপদস্থ প্রায় ৭০ লাখ মানুষ

প্রকাশিত: ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০১৯

জম্মু-কাশ্মিরকে সুবিশাল বন্দিশিবিরে রূপান্তর করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বনামধন্য ভারতীয় বুদ্ধিজীবী অরুন্ধতী রায়। কাশ্মিরিদের সঙ্গে মোদি সরকার দুর্বৃত্তের আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতা দিবসে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ লেখা নিবন্ধে বুকারজয়ী এই উপন্যাসিক দাবি করেছেন, কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ক্ষুণ্ন করে কুরুচিপূর্ণ পন্থায় তা উদযাপন করছে ভারত।

‘কাশ্মিরের নিরাপত্তা বাহিনীর টহল ও ব্যারিকেডে ঘেরা রাস্তাগুলোতে এখন সুনসান নীরবতা, প্রায় ৭০ লাখ মানুষ অবরুদ্ধ ও অপদস্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। কাঁটাতারে বন্দি এসব মানুষের ওপর ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে পুরোপুরি অচলাবস্থার মধ্যে বাস করতে হচ্ছে তাদের।

যদি তথ্যপ্রবাহের এ যুগে সরকার এতো সহজে গোটা জনসংখ্যাকে বাকি দুনিয়া থেকে কয়েক দিন ধরে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে পারে, তবে সামনের সময়গুলো কেমন হবে তা গুরুতরভাবে ভাবনার বিষয়।’

নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ লেখা নিবন্ধে এভাবেই কাশ্মিরের সাম্প্রতিক সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন স্বনামধন্য ভারতীয় মানবাধিকারকর্মী অরুন্ধতী রায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সরকার যেখানে নিজেই দাবি করে যে গুটিকয়েক জঙ্গি ছাড়া বেশিরভাগ মানুষ তাদের সমর্থন করে, সেখানে কেন লাখ লাখ সেনার উপস্থিতি।

সোমবার (৫ আগস্ট) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এদিকে জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে একটি বিলও পাস করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা। সেখানকার বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের দাবি, রাজ্য পুলিশসহ সেখানে প্রায় ৭ লাখ নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

অরুন্ধতী মনে করেন, প্রথম মেয়াদে নরেন্দ্র মোদির কঠোর অবস্থানের কারণে কাশ্মিরে সহিংসতার মাত্রা বেড়েছে। এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রাণ হারাতে হয়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ৪০ জন সদস্যকে। বুকারজীয় এই লেখক তার নিবন্ধে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় মেয়াদের দুই মাস পার হয়ে গেছে। তার সরকার সবচেয়ে বিপজ্জনক চালটি দিয়েছে।

তারা আগুনে ঘি ঢেলেছে। এটি যদি যথেষ্ট খারাপ কাজ না হয়েও থাকে, তারপরও যে সস্তা ও প্রতারণাপূর্ণ উপায়ে কাজটি করা হয়েছে তা লজ্জাজনক। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বিভিন্ন অজুহাতে কাশ্মিরে ৪৫ হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতোয়েন করা হয়েছে।’

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

 

মন্তব্য করুন