
তিন সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে পৃথিবীর বৃহৎ রেইন ফরেস্ট আমাজন। ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ হিসেবে পরিচিত এই বনে রেকর্ড মাত্রার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে পুরো বিশ্ব।
ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইনপে’-র সমীক্ষা বলছে, পৃথিবীর ২০ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহকারী আমাজন বনে এ বছর ৭২ হাজার ৮৪৩টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় যা ৮৩ শতাংশেরও বেশি, যা আগের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেছে।
এ দিকে আমাজনে রেকর্ড সংখ্যক দাবানলের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তিনি একে ‘আন্তর্জাতিক সংকট’ হিসেবে দেখছেন।
এক টুইটার বার্তায় ম্যাঁখো বলেন, “আমাদের ঘর পুড়ছে। বিশ্বের ২০ শতাংশ অক্সিজেন উৎপাদনকারী আমাজন পুড়ছে। এটি আন্তর্জাতিক সংকট।”
তিনি জি সেভেন সম্মেলনে এই সংকটকে গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে রাখার আহ্বান জানান। ২৫ আগস্ট থেকে তিনদিন ব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ফ্রান্সে।
আমাজনের এই দুরবস্থার জন্য ব্রাজিল সরকারকে দায়ী করছেন পরিবেশ সংরক্ষণবাদীরা। তাদের মতে, ব্রাজিলের কট্টর ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসোনারো কাঠুরে ও কৃষকদের ভূমি সাফ করাকে উৎসাহিত করেছেন। এতে প্রতি মিনিটে একটি ফুটবলের সমান উজাড় হচ্ছে আমাজন। বন উজাড় হওয়ার পেছনে দায়ী করা হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডকে।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের টুইটের প্রতিক্রিয়ায় বোলসোনারোর ভাষ্য, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেষ্টা করছেন ম্যাখোঁ। জি সেভেন সম্মেলনে আমাজনে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবে না ব্রাজিল।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের মতে, আমাজনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নতুন কিছু নয়।
এর আগে সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক এনজিও এবং ইউরোপীয় মধ্যস্থতাকারীদের বরখাস্ত করেছেন তিনি।
এদিকে আমাজনে ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর নীতিকে কঠোর সমালোচনা করছেন পরিবেশবিদেরা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার আগে আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না-করেই আমাজন অঞ্চলকে চাষ ও খনিজ উত্তোলনের কাজে ব্যবহারের কথা বলেছিলেন তিনি।
জিআরএস/পাবলিক বয়েস

