
রাজ্যসভা ও লোকসভায় বিল পাশ হয়েছিল আগেই। এবার কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলে সই করলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। শুক্রবার তিনি ওই বিলে সম্মতি দিয়ে সই করেছেন। এই সই করার মধ্য দিয়ে মর্যাদা কেড়ে নিয়ে কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন পরিপূর্ণ প্রতিষ্ঠিত করল ভারত। গত সোমবার রাজ্যসভায় প্রথম এই বিলের প্রস্তাব পেশ করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেদিনই রাজ্যসভায় জোর করে পাশ করিয়ে নেয় বিলটি। বুধবার পাশ হয় লোকসভায়।
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের ফলে জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখে সাধারণ আইন প্রতিষ্ঠিত হবে, যা দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে প্রতিষ্ঠিত৷ জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখে এবার থেকে জমি বা বাড়ির মত সম্পত্তি কিনতে পারবেন ভারতের অন্যান্য প্রান্তের যে কোনও ব্যক্তি৷ কাশ্মীরে এবার সরকারি চাকরি পেতে পারবেন অন্য রাজ্য থেকে আসা মানুষও৷ জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের মহিলারা অন্য রাজ্যের বাসিন্দাকে বিয়ে করলে, তার অধিকার হারাবেন না৷ জম্মু কাশ্মীরের জন্য কোনও আলাদা পতাকা থাকবে না৷
এবার থেকে ভারতের জাতীয় পতাকার তলায় চলে এল জম্মু কাশ্মীর৷ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের ফলে এবার থেকে জম্মু, কাশ্মীর, লাদাখের প্রতিরক্ষা, বিদেশনীতি, অর্থ ও যোগাযোগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে৷ কেন্দ্রের হাতে এবার কাশ্মীরে আর্থিক জরুরি অবস্থা জারির ক্ষমতা এল৷
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, আজ জম্মু থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারের নমাজের জন্য বিভিন্ন স্থানীয় মসজিদ খুলে দেওয়া হয়েছিল। কাশ্মীরে সেরকম কোনও গণ্ডগোলের খবরও এখনও পর্যন্ত আসেনি।
ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস

