ইমরান খানের ফোনের পর কাশ্মীর নিয়ে বিবৃতি দিল সৌদি আরব

প্রকাশিত: ১:১৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০১৯

ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর কাশ্মীরিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার করার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সহায়তা চেয়েছিলেন ইমরান খান। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ফোনও করেছিলেন তিনি। সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, মঙ্গলবার দুই নেতা কথা বলেন।

ফোনালাপে তারা কাশ্মীর পরিস্থিতি এবং এ ঘটনায় কী ধরনের প্রচেষ্টা চলছে তা নিয়ে আলোচনা করেন। কাশ্মীরের সর্বশেষ পরিস্থিতিও যুবরাজকে জানান পাক প্রধানমন্ত্রী। অনেকটা দেরিতে হলেও বেশ সতর্ক ও ভারসাম্যপূর্ণ বিবৃতিতে দিয়েছে সৌদি আরব। বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিবৃতিতে দিয়েছে। বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি এবং স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে পাকিস্তান ও ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের স্বার্থ বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতীয় সংবিধান থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে সৌদি। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘটনায় সৌদি আরব উদ্বিগ্ন বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবনা অনুযায়ী, উপত্যকার শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান সৌদি এই কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, কদিন পরেই মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব, ঈদ উল আজহা। ভেড়ার পাল নিয়ে এসেছিলেন বহু ব্যবসায়ী, বিক্রির জন্য। হতাশ ব্যবসায়ীরা তাদের ভেড়ার পাল নিয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ভেড়া কেনার মতো কেউ নেই। কিনবেই বা কেন, বলছেন তারা। এরকম একটা পরিবেশে কে কোরবানী দেবেন, কার কাছে মাংস বিতরণ করবেন। কাশ্মীরের মানুষের ঈদের আনন্দ এবার মাটি, এক নিরানন্দ ঈদের অপেক্ষায় তারা। শোনা যাচ্ছে, ঈদের সময় হয়তো কারফিউ শিথিল করা হতে পারে। কারও ধারণা ১৫ আগষ্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের পর হয়তো কারফিউ উঠতে পারে। কিন্তু কাশ্মীর এখন যে ভয়-ভীতি-আতংকের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে, কোন কিছুতেই কারো কোনো আশা নেই, কারো কোনো ভরসা নেই।

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন