
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক হ্রাসের সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দিল্লি। বুধবার (৭ আগস্ট) ইসলামাবাদে নিয়োজিত ভারতীয় দূতকে পাকিস্তান কর্তৃক বহিষ্কার ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক হ্রাসের ঘোষণা দেওয়ার পর এ আহ্বান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা দেখেছি পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একতরফা পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ দিল্লির দাবি, পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তটি বিশ্বের কাছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি আশঙ্কামূলক চিত্র ফুটিয়ে তোলারই প্রচেষ্টা।
ভারত শাসিত কাশ্মীরে গত কয়েক দিন ধরে চলা অচলাবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি কাশ্মীরে ভারতের বিতর্কিত পদক্ষেপ সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এক টুইটার পোস্টে এ কথা বলা হয়।
টুইসে আরও বলা হয়, কাশ্মীরে আইনি কড়াকড়ি চলছে। মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে, কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। বার্তায় কাশ্মীরের টেলিযোগাযোগ বন্ধ, নেতাদের নির্বিচারে আটক ও সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞায় আপত্তির বিষয়টি জোরালো ভাবে উপস্থাপন করে জাতিসংঘ।
সোমবার ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে এবং রাজ্যটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ভারতের সঙ্গে একীভূত করার ঘোষণা দিয়েছে। এরপর থেকেই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরো কাশ্মীর উপত্যকায়। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে নিহত ও আহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস

