
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সোমবার ভারতের বিজেপি সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে এবং রাজ্যটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ভারতের সঙ্গে একীভূত করার ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল বুধবার ইরানি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়েছে জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার দু’নেতা কথা বলেন। ফোনালাপে তারা কাশ্মীর পরিস্থিতি এবং এ ঘটনায় কী ধরনের প্রচেষ্টা চলছে তা নিয়ে আলোচনা করেন।
কাশ্মীরের সর্বশেষ পরিস্থিতিও যুবরাজকে জানান ইমরান খান। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর পাকিস্তান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি ও অন্য শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিকদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজেই কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছেন।
ভারতের সিদ্ধান্তের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহাম্মাদ এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে ইমরান খান টেলিফোনে কথা বলেন। মালয়েশিয়া ও তুরস্কের দু’নেতাই পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন দেন। এরদোগান আলোচনায় বসার জন্য ভারত ও পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়ছেন। তবে তিনি বলেছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে আংকারা ইসলামাবাদকে দৃঢ় সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখবে।
এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর সেখানে কারফিউ জারি করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরো কাশ্মীর উপত্যকায়। এ অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে রাজনৈতিক নেতাসহ ১০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস

