
ভারত ও পাকিস্তানকে আলোচনায় মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে জম্মু-কাশ্মীর সংকটের সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান। আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। কাশ্মীরের পরিবর্তিত পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান জম্মু-কাশ্মীরের বিষয়ে ভারত সরকারের সর্বসাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত এবং এ বিষয়ে নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদের ব্যাখ্যা পর্যবেক্ষণ করছে, সর্বশেষ পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে।
তিনি বলেন, ইরান আশা করে বন্ধুপ্রতীম ও আঞ্চলিক অংশীদার ভারত ও পাকিস্তান এ অঞ্চলের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যা সমাধানে কার্যকরি পদক্ষেপ নেবে। ভারত জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করেছে। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাও বাতিল করে দিয়েছে। এর ফলে কাশ্মীরীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে নতুনকরে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর সেখানে কারফিউ জারি করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরো কাশ্মীর উপত্যকায়। শ্রীনগরসহ বিভিন্ন শহরে সেনাবাহিনীর কড়া টহল চলছে। এখনো টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কার্যত সেখানকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ এবং নতুন কোনো খাদ্যদ্রব্য সেখানে পৌঁছাচ্ছে না। ভারত সরকার কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেবে -আগেই এমন শংকা ছড়িয়ে পড়েছিল এবং সে কারণে অনেকেই খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে রেখেছেন।কাশ্মীরে প্রায় নয় লাখ সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং সেনা ও বিমানবাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস

