
আজাদ কাশ্মীরেও ছড়িয়ে পড়েছে ভয় ও আতঙ্ক। বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজ করছে উদ্বেগ উত্তেজনা। এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকেই। দোকানপাট এবং রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে। লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) গত বরাবরই হাই অ্যালার্ট জারি করেছে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে রোববারই সীমান্তের অধিবাসী ও সেনা সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানে কর্তৃপক্ষ।
সীমান্তের অপর পাড়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ভারতীয় সেনারাও। নিলাম ও ঝিলাম নদী অববাহিকতায় নির্মাণাধীন বাঁধ থেকে ইতিমধ্যে ৫০ চীনা শ্রমিককেও সরিয়ে নিয়েছেন পাকিস্তান কর্মকর্তারা। গত কয়েক দিন ধরে এ এলাকায় মাঝে মাঝেই গুলি ও পাল্টা গুলি বিনিময় করছে ভারত ও পাকিস্তানের সেনারা।
ইসলামাবাদ জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাদের গুলিতে মঙ্গলবার আজাদ-কাশ্মীরের চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ বছরের এক শিশুও রয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। নিহত ওই সেনাদের নিথর দেহ পড়ে থাততে দেখা গেছে। ভারত পাকিস্তানকে মরদেহ নিয়ে যেতে বললেও পাকিস্তান সেনাদের দেহ নিতে অস্বীকৃতি জানায়।বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ভারত গুচ্ছবোমা ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় পাকিস্তানভিত্তিক জেহাদি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদকে দায়ী করে দেশটির অভ্যন্তরে বিমান হামলা চালায় ভারতের বিমানবাহিনী। পাল্টা বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানও। সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের দ্বার থেকে ফিরে এলেও কাশ্মীর সীমান্তে পাক ও ভারত সেনার মধ্যে গোলাগুলি অব্যাহত থাকে।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস

