আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইয়েমেনের আইএস শাখা গতকাল বৃহস্পতিবার আদেনে হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে সৌদির আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা আল-আরাবিয়া।
প্রথম আত্মঘাতী বোমা হামলা হয় আল-শায়েখ উসমান এলাকায় একটি পুলিশ স্টেশনে। হুথি বিদ্রোহীরা আল জালা ক্যাম্পে মিসাইল এবং ড্রোন বিমান নিয়ে সামরিক কুচকাওয়াজে দ্বিতীয় হামলাটি করে।
এই দুটি হামলায় কমপক্ষে ৪৯ জন নিহত হয়েছিল, তাদের বেশিরভাগই সরকারি বাহিনীর সদস্য। আদেন শহর গত দুই বছর ধরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। শহরটি ইয়েমেনীয় সাংবিধানিক সরকারের অধীনে রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইয়েমেন আইএসের বিরুদ্ধে সক্রিয় একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠনের ঘোষণা দেয়। এ প্রসঙ্গে ইয়েমেনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইয়েমেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে একটি বিবৃতি জারি করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে,’ এই পদক্ষেপটি সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মীয় উগ্রবাদ মোকাবেলায় ইয়েমেনী সরকারের প্রচেষ্টার অংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইয়েমেন মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ। এটি আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। সুউচ্চ পর্বতমালা ইয়েমেনের উপকূলীয় সমভূমিকে অভ্যন্তরের জনবিরল মরুভূমি থেকে পৃথক করেছে। ইয়েমেনের জনসংখ্যা অল্প। দেশের অর্ধেকের বেশি অংশ বসবাসের অযোগ্য। এখানকার আরবেরা বেশির ভাগই গ্রামীণ। প্রাচীনকালে এখানে অনেকগুলি সমৃদ্ধ সভ্যতার অবস্থান ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এলাকাটির গুরুত্ব হ্রাস পায় এবং এক হাজার বছরেরও বেশি সময় এটি একটি দরিদ্র ও অবহেলিত দেশ হিসেবে বিরাজ করছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষে এসে এখানে খনিজ তেল আবিষ্কার হলে ইয়েমেনের অর্থনৈতিক উন্নতি ও জনগণের জীবনের মান উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
আল-আরাবিয়া থেকে ইসমাঈল আযহারের অনুবাদ
আইএ/পাবলিক ভয়েস

