৩ বছরের শিশুকে পুলিশকর্মীর ছেলেসহ ৩ জনে মিলে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ৯:৪৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০১৯

তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর তার শিরচ্ছেদ করল ধর্ষকরা। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক পুলিশকর্মীর ছেলে-সহ দু’জন। নারকীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের টাটানগর স্টেশনে। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত রিংকু সাউ (৩০) একজন সাইকো কিলার বলেই জানিয়েছে রেল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে এর আগেও বেশ কয়েকটি শিশুকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত একজনের নাম রিংকু। তার মা ঝাড়খণ্ড পুলিশে কর্মরত বলেও জানা গিয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগে স্বামীর ঘর ছেড়ে পুরুষসঙ্গীর হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া থেকে ঝাড়খণ্ডে এসেছিলেন শিশুটির মা। আশ্রয় নিয়েছিলেন টাটানগর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে। গত ২৫ জুলাই রাতে সেখানেই শিশুটিকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি।

সকালে উঠে সন্তানকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। মেয়ের অপহরণের পিছনে তার পুরুষসঙ্গীর হাত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন। এরপরই তদন্তে নেমে টাটানগর স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাতে দেখা যায়, কীভাবে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে ঘুমন্ত শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে মূল অভিযুক্ত রিংকু সাউ। ফুটেজ থেকে পাওয়া সূত্রের ভিত্তিতে দুই ধর্ষককে শনাক্ত করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।

শিশুটির সন্ধানে ব্যবহার করা হয় পুলিশ কুকুর। মঙ্গলবার রাতে টাটানগর স্টেশন থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির মাথাহীন মৃতদেহ। একটি বড় প্লাস্টিক ব্যাগের মধ্যে মৃতদেহটি ভরে একটি বস্তির ধারে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এরপরই মূল অভিযুক্ত রিংকু ও তার এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায়, রিংকু ও তার সঙ্গী নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে। অপহরণের পর শিশুটিকে কীভাবে তারা ধর্ষণ করেছে।

আর ধর্ষণের পর কীভাবে তার মাথা কেটে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে তা স্বীকার করে। এপ্রসঙ্গে টাটানগর রেল পুলিশের ডিএসপি মুস্তাফা আনসারি বলেন, “গত ২৫ জুলাই শিশুটিকে ধর্ষণের পর শিরচ্ছেদ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত একজন সাইকো কিলার। এর আগেও এই ধরনের মামলা জেল খেটেছে সে। তবে এখনও শিশুটির মাথা খুঁজে পাওয়া যায়নি।”

আইএ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন