
কাশ্মীরে অতিরিক্তি ১০ হাজার সেনা মোতায়েনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতাকমী মানুষের কাজকর্মে আরও রাশ টানতে চলেছে মোদি সরকার। কাশ্মীর জুড়ে নজরদারি, টহলদারি বাড়ানো হচ্ছে। হুরিয়ত নেতাদের গতিবিধি ও কাজকর্মের উপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হচ্ছে। এর সঙ্গে এবার জারি করা হল নতুন আদেশ।
কাশ্মীর উপত্যকায় কোথায় কতগুলি মসজিদ আছে? সেগুলিতে ঠিক কী কী পরিষেবা দেওয়া হয়? কারা সেগুলির পরিচালক? তাদের সামাজিক অবস্থান কি? মসজিদগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে যাবতীয় তথ্য চাইল কেন্দ্রীয় সরকার।এই মর্মে সরকারি নির্দেশনামা পৌঁছে গিয়েছে কাশ্মীর উপত্যকার প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারের কাছে। দ্রুত সঠিক পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে তুলে দিতে বলা হয়েছে।

কাশ্মীরে নতুন করে দশ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে মোদি সরকার
কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীরা দীর্ঘ তিন দশক ধরে মসজিদ থেকে জেহাদে পরিচালনা করে আসছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা ভারতীয় সেনাদের ওপর পাথর ছুঁড়ে। এমন অভিযোগ করে ৩৫এ ধারা ও ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যখন একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মসজিদ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য চাওয়া হচ্ছে।
এদিকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও জটিল ও স্পর্শকাতর হওয়ায় সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তার অনুরোধে সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিতে এককথায় রাজি হয়েছেন ফারুক আবদুল্লা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সময়ও চেয়েছেন মেহবুবা।
মেহবুবার সাফ কথা, এখনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলাটা খুব জরুরি। উনি কখন উত্তর দেবেন তার অপেক্ষায় আছি। আমাদের জানতে হবে কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক কী চাইছে? কেন এত সেনা, আধা সেনা কাশ্মীরে মোতায়েন হচ্ছে? একই কথা বলেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাও। সেনা মোতায়েন, ৩৫ এ ধারা বাতিল নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও সেটাকে গুজব বলে দাবি করছে ভারতীয় সংবাদকর্মীরা।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস

