
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের আগে চুক্তির অংশ হিসেবে যাচাইয়ের জন্য আশ্রয়গ্রহণকারী ২৫ হাজার রোহিঙ্গার নতুন একটি তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী সেপ্টেম্বরেই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সরকার।
ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় আজ সোমবার মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব কামরুল আহসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব কামরুল আহসান বলেন, মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলেছে যে তারা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরার জন্য বোঝাচ্ছেন। কিন্তু রোহিঙ্গা শিবিরে তাদের আলোচনার সময় তারা ফেরার অনুরোধ জানালে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা হাসছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, এক সফরে সব সমস্যার সমাধান হবে না। মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের আরও বেশ কয়েকবার আসতে হবে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আস্থা সৃষ্টি করা না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে না। বাংলাদেশ কাউকে জোর করে পাঠাবে না।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রথম দাবি মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্ব। তারপর তারা চলাফেরার স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা এবং নিজেদের ভিটেমাটিতে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা চায়।
মিন্ট থোয়ে বলেন, রোববার কক্সবাজারে গিয়ে তারা রোহিঙ্গাদের উদ্বেগ আর দাবির কথা শুনেছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের তথ্য দিয়েছেন। এখন তারা কখন যেতে চায়, এটা তারাই ঠিক করবে। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করব। কক্সবাজারে আমরা আরও যাব, আমাদের প্রস্তুতি তাদের জানাব।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

