
মূলধারার পাশাপাশি দেশের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরও সাংস্কৃতিক কাজে যুক্ত করতে চায় সরকার৷ এজন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মাদরাসাগুলোতে দেওয়া হবে বাদ্যযন্ত্রসহ নানা সাংস্কৃতিক উপকরণ৷ সরকারের এই উদ্যোগ ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বরাবরই এর প্রতিবাদ করছে হেফাজত ইসলাম৷ বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ প্রতিবেদন করেছে ডয়েচে ভেলে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ বিষয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মাদরাসা পড়ুয়া লাখো শিক্ষার্থী দেশের সংস্কৃতির বাইরে চলে যাচ্ছে৷ মঙ্গলবার পাঁচটি মাদ্রসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হয়৷ ওই অনুষ্ঠানেই তাদের কিছু সরঞ্জাম দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী৷ মাদরাসার বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সম্পর্কে কে এম খালিদ বলেন, ‘‘ইসলামিক কালচার নিয়েও তারা চিন্তা ভাবনা করে না, দেশের কালচারও নিয়েও ভাবে না৷
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রশোন করে আসছে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ৷ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মিডিয়া সমন্বয়ক ফখরুল জানান, ‘‘এটা কোনোক্রমে মেনে নেওয়া যায় না, বাদ্যযন্ত্র ইসলামের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক৷”

বিষয়টি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের নজরে আনা হলে তিনি জানান, ‘‘আমরা তো কেবল শুরু করলাম৷ এ ধরনের কিছু আসেনি আমার কাছে৷ তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা কিভাবে করবেন৷ এ দেশের ইতিহাসকে ধরে রাখা, মুসলিম ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য যদি কোনো কালচারাল অনুষ্ঠান করে, সেখানে তো সাংঘর্ষিক কিছু নাই৷” এদিকে, সংস্কৃতির এই উদ্যোগ সম্পর্কে অবগত নন বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের একান্ত সচিব বার্তা সংস্থাটিকে জানিয়েছেন বলেছেন, এটি ফতোয়ার বিষয়৷ তাই বিষয়টি ফাউন্ডেশনটির ফতোয়া বোর্ডের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ এ বিষয়ে মতামত জানতে লিখিত আবেদনের পরামর্শ দেন তিনি৷ ‘হাদিস কোরানের উদ্ধৃতি দিয়ে কোথায় জায়েজ আছে, কোথায় জায়েজ নাই—এ বিষয়ে তিনি পরে জানানোর কথা বলেন।
আইএ/পাবলিক ভয়েস

