

চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম শিক্ষার্থীদের মাঝে হিন্দুত্ববাদের শ্লোগান দিয়ে কৃষ্ণ প্রসাদ বিতরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস। এই ঘটনাকে অপ্রত্যাশিত ও ধৃষ্টতাপূর্ণ উল্লেখ করে ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইলিয়াস আহমদ এবং সেক্রেটারি জেনারেল মনসুরুল আলম মনসুর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান। গতকাল ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, কোমলমতি মুসলিম শিশুদেরকে ঈমান বিধ্বংসী কুফরি শ্লোগান দেওয়ানো, এবং তাদেরকে পূজোর হারাম প্রসাদ খাওয়ানো একটি জঘন্যতম অপরাধ। এই কাজ করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত করেছে। শিশু বাচ্চাদের দিয়ে দেওয়ানো শ্লোগান মুসলমানদের ঈমান ও আক্বিদা বিরোধী, স্কুলে ঢুকে এসব কুফরি আচরণ কোনভাবেই বরদাশত করার মতো নয়।
তাছাড়া হিন্দু দেবতার নামে উৎসর্গকৃত খাদ্য মুসলানদের হারাম, এসব হারাম খাদ্য মুসলিম শিশুদের খাওয়ানো আরেকটি অপরাধ। এদেশে হিন্দু-মুসলমান দীর্ঘদিন থেকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করে আসছে। হিন্দুরা তাদের ধর্ম তাদের মতো পালন করবে। কিন্তু মুসলমান শিশুদেরকে হরে কৃষ্ণ, হরে রাম শ্লোগান দিয়ে প্রসাদ খাওয়ানো অন্ত:ধর্মীয় সম্পর্ক নষ্ট করার একটি পায়তারা মাত্র।
এই ঘটনা ও এর পরবর্তী সবকিছুর দায়ভার ইসকনকে বহণ করতে হবে হুশিয়ারি দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে এই জঘন্য অপরাধের কারণে ইসকনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এবং ভবিষ্যতে যেন এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য জাতির সামনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। সরকার ও প্রশাসনের কাছে এই ধৃষ্টতার উপযুক্ত বিচারের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার যদি ইসকনের অপতৎপরতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয় তবে তাওহীদি জনতাকে সাথে নিয়ে ইসলামী ছাত্র মজলিস ময়দানে নেমে আসবে।
আইএ/পাবলিক ভয়েস