

আন্তর্জাতিক কৃঞ্চ ভাবনা মৃত সংঘ তথা ‘ইসকন’ কর্তৃক চট্টগ্রামের ১০ টি স্কুলে ‘ফুড ফর লাইফ’ কর্মসূচীর নামে মুসলিম শিশু কিশোরদের মাঝে হিন্দু দেবতাদের উৎসর্গ করা প্রসাদ বিতরণ ও মুসলিম শিশু-কিশোরদের হিন্দুমন্ত্র পড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম।
তিনি গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে ইসকনের এমন ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক কাজকে বাংলাদেশে ধর্মীয় দাঙ্গা লাগানোর প্রচেষ্টা হিসেবে দেখে হুশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, চরম হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘ইসকন’ বাংলাদেশে ভারতের মদদপুষ্ট সরকারের সহায়তায় এমন কার্যক্রম করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। তাদের এমন দুঃসাহসের কঠোর বিচার করতে হবে বাংলাদেশে।
তিনি এই কার্যক্রমের সাথে জড়িত সকলের প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, যদি তাদের কঠোর বিচারের আওতায় না আনা হয় তবে অচিরেই চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সকল মুসলমানদের সঙ্গে নিয়ে বৃহত আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
মুফতী ফয়জুল করীম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ ৯২% মুসলিমদের একটি দেশ। এই দেশে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টি করার লক্ষে ইসকন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনি এদেশের প্রশাসন থেকে শুরু তরে সকল ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের প্রভাবের কথা উল্ল্যেখ করে বলেন, বাংলাদেশের সকল সেক্টরে হিন্দুদের প্রভাব লক্ষনীয়। জনগনের হার অনুসারে সংখ্যালঘুরা যে পরিমান চাকরি পাওয়ার কথা মূলার্থে তার বহুগুন বেশি পরিমানে চাকরিতে তারা নিয়োগ পাচ্ছে। এক্ষেত্রে হিন্দুদের প্রভাব লক্ষনীয়। দেশের নীতি নির্ধারণ পর্যায়েও রয়েছে হিন্দু তাদের একক প্রভাব। এজন্য তিনি ভারতের মদদপুষ্ট বর্তমান বাংলাদেশ সরকারকে দায়ী করেন।
বাংলাদেশের প্রশাসনিক পর্যায়ে কত পার্সেন্ট সংখ্যালঘুরা চাকরি করে তা খতিয়ে দেখার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এদেশে মুসলমানদের কোনঠাসা করার লক্ষ্যে ইসকনসহ আরও অনেক সংগঠন ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। তাদেরকে সঠিক বিচারের আওতায় না হলে বাংলাদেশে অতি শীগ্রই দাঙ্গা তৈরি হবে এবং হিন্দু মুসলিমদের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে না। তাই দেশে শান্তি ও সম্পৃতি ঠিক রাখার স্বার্থে অবশ্যই এসব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
চট্টগ্রামে মুসলিম শিশু কিশোরদের মাঝে ইসকন-এর প্রসাদ বিতরণ এবং মুসলিম শিশুদের ‘হরে রাম, রাম কৃঞ্চ’ মন্ত্র পড়ানোর বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের এই কার্যক্রম তারা পরিকল্পিতভাবে করেছে। এজন্য ইসকনসহ এ ধরণের রাষ্ট্র ও ধর্ম বিরোধী সংগঠনগুলোকে কঠোর বিচারের আওতায় এনে জবাবদিহীতা নিশ্চিত না করা হলে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে মুসলমানরা প্রতিবাদে সোচ্চার হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।