বিজয় উদযাপনে “মদের” স্পর্শ থেকে নিজেদের বিরত রাখলেন ইংল্যান্ডের দুই মুসলিম খেলোয়াড়

প্রকাশিত: ৩:২১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০১৯

রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল উপহার দিয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা জিতেছে ক্রিকেটের জন্মদাতা দেশ ইংল্যান্ড। শিরোপা জেতার আনন্দ উদযাপনে তারা ছিলো বেশ উৎফুল্ল। মদের বোতল তথা শ্যাম্পেন, হুইস্কির ঝাঝালো ছটা দিয়ে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছেন।

সুপার ওভারে জেতার পর মাঠে যতোবারই তারা একত্রিত হয়েছে ততবারই হুইস্কি, শ্যাম্পেনের ঝাঝালো ছটা দেওয়া হয়েছে। সব ক্রিকেটারের হাতেই ছিলো হুইস্কি বা শ্যাম্পেনের বোতল। কেবল ব্যাতিক্রম ছিলেন ইংল্যান্ডের দুই মুসলিম খেলোয়াড় আদিল রশিদ এবং মুঈন আলী। উদযাপনের সময়কার ভিডিওগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যখনই বিয়ার বা শ্যাম্পেনের বোতল খুলে মদ ছিটানো হয়েছে তখনই নিজেদেরকে গ্রুপ থেকে সরিয়ে নিয়েছেন তারা দুজনে।

একবার দুবার নয় বরং তিনবার এমন হয়েছে। ট্রফি নিয়ে একসাথে উদযাপনের সময়ও তারা দুজন নিজেদেরকে সরিয়ে রেখেছে উদযাপন থেকে। মদ ছিটিয়ে উদযাপন শুরুর সাথে সাথে তারা দৌড়ে সরে যেতেও দেখা গেছে দুবার। এমনকি তাদেরকে সহযোগীতা করেছেন ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রাও। তাদেরকে পাশে সরে যেতে সাহায্য করেছেন তারা। তারা দুজন না সরে যাওয়া পর্যন্ত মদের বোতল খুলতেও দেখা যায়নি খেলোয়াড়দের।

মঈন আলী ও আদিল রশিদের এই কাজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়ে মুসলিমদের কাছে। সারাবিশ্বের মুসলমানরা তাদেরকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে ভিডিওগুলো। কেবল মুসলিমরাই নয় অনেক মুসলিমরাও তাদের এই ধর্মীয় অনুসাশন মেনে চলার মানসিকতাকে শ্রদ্ধার সাথে সমর্থন করেছেন।

ধর্মপ্রাণ মুসলিম ক্রিকেটার হিসেবে এই দুজনের খ্যাতি জগতজোড়া। খেলার মধ্যেও যতটা সম্ভব ধর্মীয় রীতি নীতি মেনে চলেন তারা। মদের কারণে দলের সঙ্গে তাদের শিরোপা উদযাপন না করার নজির এই প্রথম নয়। এর আগে গেল বছর ঘরের মাঠে ভারতকে ৪-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হারানোর পরও একই কারণে দলের সঙ্গে উদযাপনে যোগ দেননি তারা।

প্রসঙ্গত : ইসলাম ধর্মে মদ সম্পূর্ণরূপে হারাম একটি বস্তু। মদ গায়ে লাগলেও তা নাপক বা অপবিত্র হিসেবে গন্য করা হয় ইসলাম ধর্মে। ইসলামের এই অনুসাশন মেনেই ইংল্যান্ডের দুই মুসলিম খেলোয়াড় মুঈন আলী এবং আদিল রশীদ নিজেদেরকে মদের সংস্পর্শ থেকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

মন্তব্য করুন