

ভারতে নিরাপরাধ মুসলমানদেরকে হত্যা, নারী ও শিশু ধর্ষণ, বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও জুলুম-নির্যাতনের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, শান্তিকামী মুসলমানদের হাতে অস্ত্র নিতে বাধ্য করা ভারতের জন্য কল্যাণকর হবে না। আজ শুক্রবার কামরাঙ্গীরচর রহমতিয়া জামে মসজিদে জুমার বয়ানে তিনি আরও বলেন, কতিপয় উগ্রবাদী হিন্দু সন্ত্রাসী ভারতের বিভিন্ন এলাকায় মুসলমানদের হত্যা ও নির্যাতন করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। তাদের আচরণে মনে হয় মুসলমানরা সে দেশে ভেসে এসেছে। অথচ মুসলমানরাই ১ হাজার বছর ভারত শাসন করেছে এবং মুসলমানরাই ইংরেজদের বিরুদ্ধে ভারত স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে সে দেশ স্বাধীন করেছেন। এখন সেই মুসলমানদের ভারত থেকে তাড়িয়ে দেওয়া এতো সহজ নয়।
ভারতের মুসলমানরা ঈমানি শক্তি দিয়ে তাদের প্রতিরোধ করলে তারা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। শান্তিকামী মুসলমানদের হাতে অস্ত্র নিতে বাধ্য করা ভারতের জন্য কল্যানকর হবে না। প্রয়োজনে ভারতের মুসলমানদের রক্ষায় বিশ্বমুসলিম ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে । তিনি আরো বলেন, হিন্দুস্তানসহ সারা দুনিয়ার মালিক এক আল্লাহ। মুসলমানরা আছে তাই আল্লাহ দুনিয়া টিকেয়ে রেখেছেন। মুসলিমবিরোধী ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে আল্লাহর গজব নেমে আসবে।
এর আগে, ভারতে জয় শ্রীরাম নিয়ে গত বেশ কয়েকদিন ধরে চলছে মুসলিম নিধন। মাদরাসা ছাত্র, শিক্ষকসহ ভারতের সাধারণ মানুষদের নির্যাতন করা হয়েছে একের পর এক। সর্বশেষ গত বুধবার রাতে এক অটো চালককে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে অস্বীকার করায় ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে এক মুসলিমকে তার মারধর করা হয়েছে। এসব নিয়ে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমরা মিটিং-মিছিল করলেও সরকার সেদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ এনিয়ে বাংলাদেশেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীরা।
আইএ/পাবলিক ভয়েস