

১২ দিন আগে অসুস্থ রোগিকে ভর্তি করা হয়েছিলো একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। লাশ নিয়ে বাড়ি চলে যায় রোগির স্বজনরা। প্রস্তুতি নেওয়া হয় লাশ সমাধিস্থ করার। এমন সময় নড়ে ওঠে মৃত লাশ। কবর দেওয়া বন্ধ করে ফের দৌঁড় হাসপাতালে। ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের লাখনৌতে। আজ বুধবার এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।
এই ঘটনায় আলোচ্য ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর আত্মীয়রা।
জানা যায়, গত ২১ জুন মুহাম্মদ ফুরকানকে অসুস্থ অবস্থায় লাখনৌয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১০ দিন পর গত পরশু সোমবার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হয়। অ্যাম্বুল্যান্সে করে তার ‘মরদেহ’ বাড়ি নিয়ে যান পরিবারের লোক। সব প্রস্তুতি শেষে আজকে চিকিৎসক ঘোষিত মৃত ফুরকানকে কবরস্থ করার প্রস্তুতি চলছিলো। ঠিক সেই সময়ে নড়ে ওঠে ফুরকানের নিথর দেহ।
ফুরকানের ভাই মুহাম্মদ ইরফান বলেন, মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন তারা। কোনোরকমে ভাইকে কবরস্থ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই সময় দেখেন ভাইয়ের হাত নড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে ভাইকে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সকদের জানান, তার ভাই বেঁচে রয়েছে। চিকিত্সকরা তাঁকে দ্রুত ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেন ।
ইরফান আরো বলেন, আমরা প্রথমে যে বেসরকারি হাসপাতালে ফুরকানকে ভর্তি করেছিলাম সেখানে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা বিল হয়েছিলো। তারপর তারা হাসপাতালকে বলেন, আমাদের কাছে আর টাকা নেই। এর পরেই হাসপাতাল ফুরকানকে মৃত ঘোষণা করে ডাক্তাররা।
এ বিষয়ে লখনৌয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নরেন্দ্র আগারওয়াল বলেন, তারা বিষয়টি জানতে পেরেছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে।
ফুরকানের বর্তমান চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগীর অবস্থা বাস্তবিকই খুব শঙ্কটজনক ছিলো। কিন্তু তার ব্রেন ডেথ হয়নি। আজকে (বুধবার) হাসপাতালে আনার পরও হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ পাওয়া যাচ্ছিলো। আপাতত তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
/এসএস/পাবলিক ভয়েস